সড়ক পথে চাঁদাবাজির প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট ডেকেছে সুনামগঞ্জ শ্রমিক ইউনিয়ন। আজ রোববার সকাল থেকে সুনামগঞ্জে থেকে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের কোথাও বাস ছেড়ে যায়নি। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সুনামগঞ্জে ঘুরতে আসা পর্যটক ও সাধারণ মানুষ।
সুনামগঞ্জ জেলা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা বলেন, সুনামগঞ্জ থেকে ছেড়ে যাওয়া আন্তজেলা বাসগুলো সিলেটের বাইপাস সড়কে শ্রমিক ইউনিয়নের নাম ব্যবহার করে কিছু চাঁদাবাজ জোর করে গাড়ি প্রতি ৫০ টাকা করে আদায় করে। গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে এই চাঁদাবাজি শুরু হয়েছে। বাস চালকসহ শ্রমিকদের পক্ষ থেকে বিষয়টি সিলেটের শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের জানানো হয়। তারা বিষয়টি দেখার আশ্বাস দিলেও শনিবার পর্যন্ত চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি।
নেতারা বলেন, বিষয়টি সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার, সিলেট বিভাগের ডিআইজিসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্তা ব্যক্তিদের জানানো হয়। কিন্তু কোনো কিছুতেই চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি। উল্টো চাঁদাবাজেরা বিভিন্ন জায়গায় নালিশ করায় বাইপাস সড়কে বাস গেলেই শ্রমিকদের মারপিট করে। এই অবস্থায় আন্তজেলা বাস শ্রমিকেরা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। হয়রানি চাঁদাবাজি বন্ধ না হলে এই ধর্মঘটের অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
সুনামগঞ্জ জেলা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নুরুল হক বলেন, ‘আমরা প্রশাসনের কাছে বারবার স্মারকলিপিসহ আবেদন দিয়ে আসছি। তাতেও সাড়া পাইনি।’ তিনি জানান, সিলেটের পরিবহন শ্রমীকর সুনামগঞ্জ থেকে ছেড়ে যাওয়া আন্তজেলা সকল বাসের কাছ থেকে প্রতিদিন চাঁদা আদায় করছে। চাঁদা না দিলে শ্রমিকদের নির্যাতনও করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার সেরমস্তপুর গ্রামের আব্দুল জলিল বলেন, ‘আমি প্রবাসী আগামীকাল ঢাকায় করোনা টেস্ট করিয়ে পরের দিন ফ্লাইট। এখন বাস বন্ধ। এ দিকে আমার ভিসার মেয়াদও আছে আর পাঁচ দিন।’
জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘আমি পরিবহন নেতাদের সাথে বসেছি এবং তাদেরকে আশ্বস্ত করেছি। আর কেউ চাঁদাবাজি করলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ তিনি বলেন, ‘আমি সিলেট এর পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেছি। সেখানে পুলিশ মোতায়েন থাকবে।’