সিলেট: সিলেটের ওসমানীনগরের একটি বাড়ি থেকে তপতী রানী দে (৪৫) নামের এক স্কুল শিক্ষিকা এবং তাঁর গৃহকর্মী গৌরাঙ্গ বৈদ্যের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত তপতী রানী দে উপজেলার সোয়ারগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা এবং ওই এলাকার ডা. বিজয় ভুষন দের স্ত্রী।
গতকাল শনিবার রাত ৯টার দিকে ওই শিক্ষিকার ঘরের দরজা ভেঙে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিলেটের পুলিশ সুপার মো. ফরিদ উদ্দিন।
পুলিশ সুপার মো. ফরিদ উদ্দিন বলেন, নিহত তপতী রানীর স্বামী ও ছেলে ডাক্তার। তারা পেশাগত কাজে বাইরে ছিলেন। বাড়িতে তপতী রানী ও কাজের ছেলে একা ছিলেন। রাত ৯টার দিকে তার ছেলে ডা. বিপ্লব দে বাড়িতে এসে ডাকাডাকি করলে ভেতর থেকে সাড়াশব্দ না পেয়ে এলাকাবাসী ও পুলিশকে খবর দেন।
পরে পুলিশ বাড়ির বাথরুমের জানালা ভেঙে ঘরে ঢুকে মেজেতে স্কুল শিক্ষিকা তপতী রানী দের রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পায়। পাশে ফ্যানের সঙ্গে কাজের ছেলে গৌরাঙ্গ বৈদ্যের মরদেহ গামছা দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সুপার বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে কাজের ছেলে গৌরাঙ্গ বৈদ্য তপতীকে হত্যা করে নিজে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তবে এর পেছনে অন্য কোনো কারণ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
নিহত গৌরাঙ্গ বৈদের বাড়ি সিলেটের বিশ্বনাথের দশঘর গ্রামে। সে প্রায় ৫-৬ বছর ধরে তপতী রানীর বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করত।