হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলায় ইজিবাইক চালক আতাউর রহমানকে (৫৫) হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁদের প্রাথমিক জবানবন্দির বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, আতাউরের মৃত্যু নিশ্চিত করে পুকুর পাড়ে তাঁর লাশ ফেলে রেখে পালিয়ে যায় তাঁরা। পরে তাঁর ইজিবাইকটি ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় চুনারুঘাট থানা কমপ্লেক্সে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান চুনারুঘাট-মাধবপুর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার নির্মলেন্দু চক্রবর্তী। এ সময় চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিল্লোল রায় ও পরিদর্শক (তদন্ত) প্রজিত কুমার উপস্থিত ছিলেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, আজ শুক্রবার ভোরে উপজেলার বালিয়াড়ী গ্রাম থেকে অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। প্রথমে একই গ্রামের মো. হাবিবুর রহমান রামিমকে (২১) গ্রেপ্তার করা হলে তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তাঁর সহযোগী এই গ্রামের শাকিবকে (২০) গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের দেওয়া স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে হত্যায় ব্যবহৃত দুটি ছুরি ও একটি দা উদ্ধার করে পুলিশ।
সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও জানান, ঘটনার মূলহোতা রামিমের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ও তাঁর দেখানো মতে আফরাজ আফগানের পুকুর থেকে হত্যা ব্যবহৃত দুটি ছুরি ও একটি রামদা উদ্ধার করা হয়। পরে তাঁদেরকে আদালতে সোপর্দ করেন। এ ছাড়া এ ঘটনায় জড়িত বাকিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।
এর আগে, গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে চুনারুঘাট উপজেলার উবাহাটা ইউনিয়নের বালিয়াড়ী গ্রামে ইউপি চেয়ারম্যান এজাজ ঠাকুর চৌধুরী বাড়ির পেছনের পুকুর পাড় থেকে ইজিবাইকচালক আতাউর রহমানের গলা ও হাত-পায়ের রগকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।