সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলংয়ে ব্যাটারির সঙ্গে খেলনা সদৃশ বস্তু সংযোগ দিতে গিয়ে বিস্ফোরণে জুয়েল মিয়া (১০) নামের এক শিশু মারা গেছে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
সে উপজেলার পূর্ব জাফলং ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর এলাকার ময়না মিয়ার ছেলে এবং স্থানীয় মাদ্রাসার শিশু শ্রেণির ছাত্র।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানায়, জুয়েলের পরিবার দীর্ঘদিন ধরে জাফলংয়ের একটি কলোনিতে ভাড়া থাকতেন। শিশুটির মা-বাবা দুজনই ভারত থেকে এলসির মাধ্যমে দেশে আনা পাথর ভাঙার কাজ করতেন।
শনিবার সন্ধ্যায় শিশুটি এলসি পাথর থেকে কুড়িয়ে পাওয়া তারের সঙ্গে খেলনা সদৃশ বস্তুটি বাড়িতে নিয়ে যায়। এটি নিয়ে খেলা করছিল জুয়েল। ওই তারে মুঠোফোনের একটি ব্যাটারি সংযোগ দেওয়ার চেষ্টা করলে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে জুয়েল আহত হয়।
এদিকে বিস্ফোরণের বিকট শব্দে শিশুটির মা-বাবাসহ প্রতিবেশীরা এগিয়ে গিয়ে দেখতে পায় রক্তাক্ত অবস্থায় ঘরের মেঝেতে পড়ে আছে। পরে শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ ধারণা করছে, ভারত থেকে এলসির মাধ্যমে নিয়ে আসা পাথরের সঙ্গে কোনো বিস্ফোরক ভুলবশত এসেছিল। যেটি ওই শিশু কুড়িয়ে পেয়েছিল। খেলনা সদৃশ ওই বস্তুটি বিস্ফোরক হতে পারে। সেটিই বিস্ফোরিত হয়ে এমন ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় লোকজন জানায়, এর আগেও প্রায় কয়েক বছর আগে তামাবিলে এলসি পাথর লোড-আনলোড করার সময় এমন এক বস্তুর বিস্ফোরণে এক শ্রমিক গুরুতর আহত হয়েছিলেন।
এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে রাতে সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ মো. সেলিমসহ পুলিশের অন্যান্য সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম নজরুল ইসলাম জানান, পাথর শ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা বলছেন ভারত থেকে এলসির মাধ্যমে নিয়ে আসা পাথরে সঙ্গে হঠাৎ বিস্ফোরক জাতীয় বস্তু চলে আসে। যেগুলো ওই দেশে পাথর ভাঙার কাজে ব্যবহৃত হয়।
ওসি বলেন, ধারণা করা হচ্ছে এমন বিস্ফোরক শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। বিষয়টি বিস্তারিত তদন্ত করা হচ্ছে। লাশ উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।