সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের পিয়াইন নদী বালুমহালে চাঁদা না দেওয়ায় ১৩ বালু কারবারিকে হাত-পা বেঁধে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। পরে কোম্পানীগঞ্জ থানার পুলিশ তাঁদের উদ্ধার করে।
গতকাল বৃহস্পতিবার পিয়াইন নদীর ইছাকলস গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ইজারাদার আকদ্দুছ আলী বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
মারধরের শিকার ব্যক্তিরা হলেন—উজ্জ্বল, রায়হান, জুয়েল, আব্দুর রহমান, জমির আলী, ইলিয়াস, সুলেমান, লাদেন, রুহেল, ফুরকান, ফাহাদ, আফজল, হৃদয়, সেবুল ও মোহাম্মদ আলী। তাঁরা সবাই কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা। হামলাকারীরা পার্শ্ববর্তী ছাতক উপজেলার বাসিন্দা।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, পিয়াইন নদীর শেরপুর ও নিজগাঁও মৌজার বালুমহালটি ৭৫ লাখ টাকায় ইজারা নিয়েছেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার গৌখালেরপাড় গ্রামের আকদ্দুছ আলী। তিনি ২০২৩ সালের ১৪ এপ্রিল থেকে সেখানে বালু উত্তোলন করছেন। ছাতকের সাব্বির, বুলবুল মিয়া ও তাদের লোকজন দীর্ঘদিন ধরে মহালে গিয়ে চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। তাঁদের চাঁদার টাকা না দেওয়ায় বৃহস্পতিবার দুপুরে বালু উত্তোলনে বাধা দেওয়া হয়। এ সময় সাব্বির ও তাঁর লোকজন বালু তোলায় নিয়োজিত একটি নৌকার ১৩ ব্যক্তিকে হাত-পা বেঁধে মারধর করে।
এদিকে খবর পেয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক গোপেশ দাসের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে হামলাকারীরা সটকে পড়ে। পরে হামলায় আহতদের উদ্ধার করা হয়।
এ বিষয়ে গোপেশ দাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ব্যবসার অংশীদারত্ব নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে গন্ডগোল হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই একটি পক্ষ পালিয়ে গেছে।’
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম দস্তগীর আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পিয়াইন নদীর বালুমহালে কয়েকজনকে মারধর করার খবরে পুলিশ পাঠানো হয়। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’