বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা অ্যাসোসিয়েশন ফর সোশ্যাল অ্যাডভান্সমেন্টের (আশা) প্রেসিডেন্ট মো. আরিফুল হক চৌধুরী বলেছেন, চলমান মাঠপর্যায়ে শিক্ষা কর্মসূচির পাশাপাশি ২০২৭ সালের মধ্যে শিক্ষার্থীদের জন্য আশা অনলাইন স্কুল প্রতিষ্ঠা করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আশার শিক্ষা কর্মসূচির ৫ দিনব্যাপী আয়োজিত অফিসার্স ক্যাম্প ২০২৫ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আশা শিক্ষা কর্মসূচির প্রধান মো. সামিউল হক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আশার অ্যাডভাইজার (অপারেশন) সুশীল কুমার রায়।
মো. আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘আমরা বর্তমানে কারিকুলামে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি, যা ন্যাশনাল কালিকুলামকে অনুসরণ করে একটি আনন্দময় পাঠদান পরিবেশ তৈরিতে সহায়তা করবে। এর মাধ্যমে নমনীয় শিক্ষাপদ্ধতিকে শিক্ষার্থীদের সামনে উপস্থাপন করবে। একটি ইলাস্ট্রেশন অনেক হাজারো শব্দের চেয়ে কার্যকর ভূমিকা রাখতে সক্ষম। কঠিন বিষয়গুলোকে এমনভাবে পড়াতে হবে, যাতে পড়ার পর বিষয়টি শিক্ষার্থীরা ধারণ করতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, কারিকুলার ও পড়ানোর পদ্ধতি আমরা এমনভাবে উন্নয়ন করব, যাতে সবাই আমাদের কর্মসূচি সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হয়।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অ্যাডভাইজার (অপারেশন) সুশীল কুমার রায় বলেন, ‘ঝরে পড়া রোধ এবং মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা–এই প্রধান দুটি লক্ষ্য নিয়ে ১৩ বছর আগে আমাদের এই শিক্ষা কর্মসূচির কাজ শুরু হয়। এ কর্মসূচি নিয়ে আমরা এখন পর্যন্ত প্রায় ১০০ কোটি টাকা ব্যয় করেছি।’
শিক্ষার বিভিন্ন দিক তুলে ধরে তিনি বলেন, শৈশব থেকে শিশুদের মানবিক গুণাবলির শিক্ষা দিতে হবে। শিক্ষাকে তাদের সামনে আকর্ষণীয় এবং আনন্দের সঙ্গে উপস্থাপন করতে হবে। এ লক্ষ্যে শিক্ষা সেবিকাদের যোগ্য ও দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। তবেই আশা শিক্ষা কর্মসূচি আলাদা বৈশিষ্ট্যপূর্ণ হবে।
এর আগে এনজিও সংস্থা আশা সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নে ২০১১ সাল থেকে শিক্ষা কর্মসূচি শুরু করে। এ কর্মসূচির আওতায় দেশের ৬৪টি জেলায় ১৫ হাজার ৭৫০টি শিক্ষাকেন্দ্রের মাধ্যমে প্রায় সাড়ে ৬ লাখ সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের বর্তমানে শিক্ষা সহায়তা দিয়ে আসছে প্রতিষ্ঠানটি।