Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

‘চুক্তিগত ত্রুটি’ দেখিয়ে বছর পার প্রশাসনের

‘চুক্তিগত ত্রুটি’ দেখিয়ে বছর পার প্রশাসনের

ফুলের রাজধানী বলে খ্যাত যশোরের ঝিকরগাছায় ফুল বিপণন কেন্দ্র ও কোল্ড স্টোরেজটি এক বছরেও চালু হয়নি। গত বছরের জুন মাসে স্থাপনাটির নির্মাণকাজ শেষ হলেও ‘চুক্তিগত ত্রুটি’ দেখিয়ে প্রশাসন এটির হস্তান্তর আটকে রেখেছে।

বেসরকারি সংস্থা ইউএসএআইডি সাড়ে ২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে ফুল কানন পানিসারায় এক একর জমির ওপর বাংলাদেশ-আমেরিকা সৌহার্দ্য ফুল বিপণন কেন্দ্র নির্মাণ করে। ২০২১ সালের জুন মাসে এর নির্মাণকাজ শেষ হয়।

এলাকার ফুলচাষিদের ফুলের বীজ সংরক্ষণ করতে হিমাগার বাবদ প্রায় কোটি টাকা গুনতে হয়। তবু বীজ সংরক্ষণ নিশ্চিত করা সম্ভব হয় না। এ সমস্যা নিরসনে স্থাপনাটি নির্মাণ করা হয়।

বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটির (বিএফএস) সভাপতি আব্দুর রহিম বলেন, ‘ফুলচাষিদের সমস্যা নিরসনে ২০১৬ সালে উপজেলার পানিসারায় আমরা নয়জন কৃষক শর্তসাপেক্ষে বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটির নামে এক একর জমি রেজিস্ট্রি করে দিই। যেখানে আমার পৈতৃক সম্পত্তি ৬০ শতক। পরবর্তীকালে জেলা প্রশাসকের নামে জমি না লিখে দিলে প্রকল্প বাতিল হবে বিধায় ২০১৯ সালে চুক্তিভিত্তিক জমিটি বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটি দানপত্র হিসেবে জেলা প্রশাসকের নামে লিখে দেওয়া হয়। যেখানে বলা হয়, প্রকল্পটি নির্মাণের পর ফ্লাওয়ার সোসাইটির কাছে তা হস্তান্তর করতে হবে ৷ তারা সেটি পরিচালনা করবে।’

কিন্তু জমিদাতাদের চুক্তি পূরণে অসম্মতি জানান বর্তমান জেলা প্রশাসক। যে কারণে নির্মাণ শেষ হলেও এখনো হস্তান্তর করা হয়নি।

বাংলাদেশ-আমেরিকা সৌহার্দ্য ফুল বিপণন কেন্দ্র বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক মীর ফারুখ আহম্মদ বলেন, ‘এটি চালুর দাবিতে আমরা খুব দ্রুত ইউএনওসহ জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেব। চালু না হওয়া পর্যন্ত আমাদের বিভিন্ন কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।’

ঝিকরগাছা উপজেলা প্রকৌশলী শ্যামল কুমার বসু বলেন, ‘কৃষকেরা শর্তসাপেক্ষে জমি লিখে দিয়েছিলেন। তবে জেলা প্রশাসন বলছে, শর্তসাপেক্ষে সরকার কোনো জমি গ্রহণ করে না। এ জটিলতায় প্রকল্পটি হস্তান্তর করা হচ্ছে না। সমস্যা সমাধানে উপজেলা প্রশাসনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহবুবুল আলম বলেন, ‘চুক্তি সংশোধন করে আমরা ফ্লাওয়ার সোসাইটির কাছেই প্রকল্পটি হস্তান্তর করব। তবে নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিটি লোকসানের কারণ দেখিয়ে সেটি বুঝে নিতে অস্বীকৃতি জানানোয় হস্তান্তর করা সম্ভব হচ্ছে না।’

উল্লেখ্য, ঝিকরগাছার গদখালী অঞ্চলে ১ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে ১১ প্রকারের ফুল বাণিজ্যিকভাবে চাষ হয়। এ এলাকার ৬০০ পরিবারের দেড় লাখ মানুষ ফুল চাষের সঙ্গে জড়িত। এ অঞ্চলে প্রতিবছর সাড়ে ৩০০ কোটি টাকার ফুল উৎপাদন হয়।

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ