শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস। এতে তিন শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও তিনজন। গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটী ইউনিয়নের উদয়খালী গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত শিক্ষার্থীরা হলেন মোস্তাকিম রহমান মাহিন (২২), মোজাম্মেল হোসেন নাঈম (২৪) ও জুবায়ের আলম সাকিব (২২)। তাঁরা সবাই আইইউটির মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী। নাঈম ফেনীর মাস্টারপাড়া এলাকার মোতাহার হোসেনের ছেলে, জুবায়ের রাজশাহীর রাজপাড়া ডিঙ্গাবো এলাকার জাহাঙ্গীর আলমের এবং মাহিন রংপুর সদরের ইমতিয়াজুর রহমানের ছেলে।
আহত একজনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে এবং অন্য দুজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
নিহত শিক্ষার্থীদের স্বজনেরা বলছেন, গ্রামের সরু রাস্তা দিয়ে যাওয়ার জন্য বিআরটিসির দোতলা বাস ভাড়া করা ঠিক হয়নি। এ জন্য তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে দোষারোপ করেছেন। তবে আইইউটির উপাচার্য অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম খান উল্টো বিআরটিসির ওপর দায় চাপিয়ে বলেছেন, ‘এটা তো ভালো জানার কথা বিআরটিসির। কারণ, তারা বাস ভাড়া দেয়। বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হবে।’
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এদিকে গাফিলতির অভিযোগে ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২-এর সাত কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গতকাল রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করে ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২-এর জেনারেল ম্যানেজার মো. আকমল হোসেন বলেন, তদন্ত করে তাঁদের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার প্রমাণ পেলে চাকরিবিধি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বরখাস্ত হওয়া ব্যক্তিরা হলেন ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২-এর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম, সদর-কারিগরি) কমলেশ চন্দ্র বর্মন, মাওনা জোনাল অফিসের ডিজিএম খোন্দকার মাহমুদুল হাসান, এজিএম মো. তানভীর সালাউদ্দিন, জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার মতিউর রহমান, লাইনম্যান পারভেজ মিয়া, শাখাওয়াত হোসেন ও আবুল কাশেম।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আইইউটির মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রায় ৪৬০ জন শিক্ষার্থী ও তাঁদের শিক্ষকেরা সকালে বিআরটিসির ৬টি দোতলা বাস ও ৩টি মাইক্রোবাসে করে শ্রীপুরের তেলিহাটী ইউনিয়নের উত্তর পেলাইদ গ্রামের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টের উদ্দেশে রওনা হন। বাসগুলো গ্রামীণ সড়কের উদয়খালী বাজার পৌঁছালে বিআরটিসির দোতলা একটি বাস বাজারের ওপরে পল্লী বিদ্যুতের তারে বিদ্যুতায়িত হয়। ওই বাসে ৬০-৭০ জন শিক্ষার্থী ছিলেন। বিভাগের শিক্ষক ড. আরাফাত হোসেন বলেন, ‘সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উদয়খালী এলাকায় পৌঁছামাত্র বহরের একটি বাস রাস্তার পাশে থাকা বিদ্যুতের তারে স্পর্শ হয়। এতে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয় শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়। আহত শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর পর তিনজনের মৃত্যু হয়।’
বিভাগের শিক্ষার্থী মাহিদ হাসান শিশির বলেন, ‘সরু রাস্তা থাকায় বাসগুলো ধীরে ধীরে যাচ্ছিল। পেছনের বাস থেকে হঠাৎ আমাদেরকে চিৎকার করে বলছে, তোমাদের কাছে পানি আছে, দ্রুত পানি দাও। আমাদের বাসে আগুন লাগছে, পানি দাও। এরপর আমাদের সঙ্গে থাকা বোতলের পানি ছিটাতে থাকি।’
আইইউটির সহ-উপাচার্য (প্রো-ভিসি) অধ্যাপক রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘আপাতত আমরা এটাকে দুর্ঘটনা বলব। কাউকে দোষারোপ করব না; পরিস্থিতি উত্তরণে আমরা কাজ করছি।’ তিনি জানান, তিন শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় উচ্চপর্যায়ের পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি জানান, গতকাল দুপুরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহত এবং নিহতদের দেখতে যান উপাচার্য অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম খান।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. গোলাম ফেরদৌস জানান, আনার পথেই তিন শিক্ষার্থী মারা যান। সন্ধ্যার পর নিহতদের লাশ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হিমঘর থেকে স্বজনদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়। আহতদের মধ্যে মিরপুরের কাজীপাড়া এলাকার কাবিদুল ইসলাম আলিফ (২২) ও ঢাকার কামরাঙ্গীরচর এলাকার নাফিজ আলম খানকে (২২) বিকেলে ঢাকার আহ্ছানিয়া মিশন হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
গাজীপুরের জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফীন বলেন, আইইউটির তিন শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সালমা আক্তারকে প্রধান করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
মাহিন বেঁচে নেই, জানেন না মা
রংপুর প্রতিনিধি জানান, মাহিনের বাড়ি রংপুর নগরীর জুম্মাপাড়ায়। বাবা ইমতিয়াজুর রহমান এবি ব্যাংকের সৈয়দপুর শাখার ব্যবস্থাপক। দুই ভাইয়ের মধ্যে মাহিন বড়। বিকেলে মাহিনের চাচা হাসান রহমান জানান, মাহিনের বাবা ঢাকার পথে রওনা দিয়েছেন। বিষয়টি এখনো তাঁর মাকে জানানো হয়নি। ছেলের মৃত্যুর খবর তাঁর মা সহ্য করতে পারবেন না। এ জন্য বাড়ির আশপাশে কাউকে আসতে দেওয়া হচ্ছে না।
গ্রামের রাস্তায় দোতলা বাস কেন
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী জানান, সাকিবের বাবার নাম জাহাঙ্গীর আলম। তিনি অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা। বাড়ি রাজশাহী নগরের বাকীর মোড়ে। সাকিবের মা ফজলেতুন্নেসা সেফা জেলার পবা উপজেলার মুরারীপুর উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। এই দম্পতির দুই সন্তানের মধ্যে ছোট ছিলেন সাকিব।
সাকিবের বোনের শ্বশুর নজরুল ইসলাম নওগাঁর মান্দার একটি কলেজের অধ্যক্ষ। তিনি বলেন, ‘গ্রামের মধ্যে সফর করবে, তো দোতলা বাস কেন? গ্রামের রাস্তায় গাছের ডাল থাকবে, বিদ্যুতের লাইন থাকবে, এটিই তো স্বাভাবিক। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ চরম গাফিলতির পরিচয় দিয়েছে দোতলা বাস ভাড়া করে। এ দুর্ঘটনার জন্য যাঁরা দায়ী, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।’
শোকে স্তব্ধ নাঈমের পরিবার
ফেনী প্রতিনিধি জানান, নাঈম ফেনী শহরের মাস্টারপাড়ায় বসবাসরত সাউথইস্ট ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক মীর মোতাহার হোসেন শাহীনের ছেলে। গতকাল বিকেলে নাঈমদের বাসায় আত্মীয়স্বজনসহ প্রতিবেশীরা এসে তাঁর পরিবারকে সান্ত্বনা দিতে দেখা গেছে। তবে পরিবারের কোনো সদস্য গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস। এতে তিন শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও তিনজন। গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটী ইউনিয়নের উদয়খালী গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত শিক্ষার্থীরা হলেন মোস্তাকিম রহমান মাহিন (২২), মোজাম্মেল হোসেন নাঈম (২৪) ও জুবায়ের আলম সাকিব (২২)। তাঁরা সবাই আইইউটির মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী। নাঈম ফেনীর মাস্টারপাড়া এলাকার মোতাহার হোসেনের ছেলে, জুবায়ের রাজশাহীর রাজপাড়া ডিঙ্গাবো এলাকার জাহাঙ্গীর আলমের এবং মাহিন রংপুর সদরের ইমতিয়াজুর রহমানের ছেলে।
আহত একজনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে এবং অন্য দুজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
নিহত শিক্ষার্থীদের স্বজনেরা বলছেন, গ্রামের সরু রাস্তা দিয়ে যাওয়ার জন্য বিআরটিসির দোতলা বাস ভাড়া করা ঠিক হয়নি। এ জন্য তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে দোষারোপ করেছেন। তবে আইইউটির উপাচার্য অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম খান উল্টো বিআরটিসির ওপর দায় চাপিয়ে বলেছেন, ‘এটা তো ভালো জানার কথা বিআরটিসির। কারণ, তারা বাস ভাড়া দেয়। বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হবে।’
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এদিকে গাফিলতির অভিযোগে ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২-এর সাত কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গতকাল রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করে ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২-এর জেনারেল ম্যানেজার মো. আকমল হোসেন বলেন, তদন্ত করে তাঁদের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার প্রমাণ পেলে চাকরিবিধি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বরখাস্ত হওয়া ব্যক্তিরা হলেন ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২-এর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম, সদর-কারিগরি) কমলেশ চন্দ্র বর্মন, মাওনা জোনাল অফিসের ডিজিএম খোন্দকার মাহমুদুল হাসান, এজিএম মো. তানভীর সালাউদ্দিন, জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার মতিউর রহমান, লাইনম্যান পারভেজ মিয়া, শাখাওয়াত হোসেন ও আবুল কাশেম।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আইইউটির মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রায় ৪৬০ জন শিক্ষার্থী ও তাঁদের শিক্ষকেরা সকালে বিআরটিসির ৬টি দোতলা বাস ও ৩টি মাইক্রোবাসে করে শ্রীপুরের তেলিহাটী ইউনিয়নের উত্তর পেলাইদ গ্রামের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টের উদ্দেশে রওনা হন। বাসগুলো গ্রামীণ সড়কের উদয়খালী বাজার পৌঁছালে বিআরটিসির দোতলা একটি বাস বাজারের ওপরে পল্লী বিদ্যুতের তারে বিদ্যুতায়িত হয়। ওই বাসে ৬০-৭০ জন শিক্ষার্থী ছিলেন। বিভাগের শিক্ষক ড. আরাফাত হোসেন বলেন, ‘সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উদয়খালী এলাকায় পৌঁছামাত্র বহরের একটি বাস রাস্তার পাশে থাকা বিদ্যুতের তারে স্পর্শ হয়। এতে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয় শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়। আহত শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর পর তিনজনের মৃত্যু হয়।’
বিভাগের শিক্ষার্থী মাহিদ হাসান শিশির বলেন, ‘সরু রাস্তা থাকায় বাসগুলো ধীরে ধীরে যাচ্ছিল। পেছনের বাস থেকে হঠাৎ আমাদেরকে চিৎকার করে বলছে, তোমাদের কাছে পানি আছে, দ্রুত পানি দাও। আমাদের বাসে আগুন লাগছে, পানি দাও। এরপর আমাদের সঙ্গে থাকা বোতলের পানি ছিটাতে থাকি।’
আইইউটির সহ-উপাচার্য (প্রো-ভিসি) অধ্যাপক রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘আপাতত আমরা এটাকে দুর্ঘটনা বলব। কাউকে দোষারোপ করব না; পরিস্থিতি উত্তরণে আমরা কাজ করছি।’ তিনি জানান, তিন শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় উচ্চপর্যায়ের পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি জানান, গতকাল দুপুরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহত এবং নিহতদের দেখতে যান উপাচার্য অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম খান।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. গোলাম ফেরদৌস জানান, আনার পথেই তিন শিক্ষার্থী মারা যান। সন্ধ্যার পর নিহতদের লাশ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হিমঘর থেকে স্বজনদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়। আহতদের মধ্যে মিরপুরের কাজীপাড়া এলাকার কাবিদুল ইসলাম আলিফ (২২) ও ঢাকার কামরাঙ্গীরচর এলাকার নাফিজ আলম খানকে (২২) বিকেলে ঢাকার আহ্ছানিয়া মিশন হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
গাজীপুরের জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফীন বলেন, আইইউটির তিন শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সালমা আক্তারকে প্রধান করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
মাহিন বেঁচে নেই, জানেন না মা
রংপুর প্রতিনিধি জানান, মাহিনের বাড়ি রংপুর নগরীর জুম্মাপাড়ায়। বাবা ইমতিয়াজুর রহমান এবি ব্যাংকের সৈয়দপুর শাখার ব্যবস্থাপক। দুই ভাইয়ের মধ্যে মাহিন বড়। বিকেলে মাহিনের চাচা হাসান রহমান জানান, মাহিনের বাবা ঢাকার পথে রওনা দিয়েছেন। বিষয়টি এখনো তাঁর মাকে জানানো হয়নি। ছেলের মৃত্যুর খবর তাঁর মা সহ্য করতে পারবেন না। এ জন্য বাড়ির আশপাশে কাউকে আসতে দেওয়া হচ্ছে না।
গ্রামের রাস্তায় দোতলা বাস কেন
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী জানান, সাকিবের বাবার নাম জাহাঙ্গীর আলম। তিনি অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা। বাড়ি রাজশাহী নগরের বাকীর মোড়ে। সাকিবের মা ফজলেতুন্নেসা সেফা জেলার পবা উপজেলার মুরারীপুর উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। এই দম্পতির দুই সন্তানের মধ্যে ছোট ছিলেন সাকিব।
সাকিবের বোনের শ্বশুর নজরুল ইসলাম নওগাঁর মান্দার একটি কলেজের অধ্যক্ষ। তিনি বলেন, ‘গ্রামের মধ্যে সফর করবে, তো দোতলা বাস কেন? গ্রামের রাস্তায় গাছের ডাল থাকবে, বিদ্যুতের লাইন থাকবে, এটিই তো স্বাভাবিক। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ চরম গাফিলতির পরিচয় দিয়েছে দোতলা বাস ভাড়া করে। এ দুর্ঘটনার জন্য যাঁরা দায়ী, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।’
শোকে স্তব্ধ নাঈমের পরিবার
ফেনী প্রতিনিধি জানান, নাঈম ফেনী শহরের মাস্টারপাড়ায় বসবাসরত সাউথইস্ট ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক মীর মোতাহার হোসেন শাহীনের ছেলে। গতকাল বিকেলে নাঈমদের বাসায় আত্মীয়স্বজনসহ প্রতিবেশীরা এসে তাঁর পরিবারকে সান্ত্বনা দিতে দেখা গেছে। তবে পরিবারের কোনো সদস্য গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৪ দিন আগে