Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

পানির অভাবে মাঠেই নষ্ট পাট

সনি আজাদ, চারঘাট 

পানির অভাবে মাঠেই নষ্ট পাট

রাজশাহীর চারঘাটে এবার লক্ষ্যমাত্রার বেশি জমিতে পাট চাষ হয়েছে। ফলনও ভালো। কিন্তু পানির অভাবে জাগ দিতে না পারায় বেশির ভাগ পাটগাছ শুকিয়ে নষ্ট হচ্ছে কৃষকের জমিতেই। অনেকে কৃত্রিম খাল তৈরি করে শ্যালো মেশিনের মাধ্যমে সেচ দিয়ে পানি এনে পাট জাগ দিচ্ছেন। এতে পাটচাষিদের অতিরিক্ত টাকা ব্যয় হচ্ছে। এতে পাটের উৎপাদন খরচ তোলা কঠিন হয়ে পড়েছে।

সম্প্রতি উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে পাটচাষিদের এমন দুর্দশা চোখে পড়েছে। দেখা গেছে, অনাবৃষ্টিতে জমির কাছাকাছি জলাশয়গুলোর পানি শুকিয়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রচণ্ড খরতাপে জমিতে থাকা পাটগাছ পুড়ে যাওয়ার মতো অবস্থা তৈরি হয়েছে।

কৃষকেরা বলেন, এসব পুড়ে যাওয়া গাছ থেকে কোনো আঁশ পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। আর যাঁরা পাট জাগ দেওয়ার জন্য জমি থেকে দূরে ভাগ্যক্রমে কোনো জলাশয় পেয়ে গেছেন, তাঁদের পরিবহন খরচের পাশাপাশি শ্রমিকের মজুরি খরচও বেড়ে যাচ্ছে। আর যাঁরা কৃত্রিম খাল তৈরি করে শ্যালো মেশিনের মাধ্যমে সেচ দিয়ে পানি এনে পাট জাগ দিচ্ছেন, তাঁদের অতিরিক্ত টাকা ব্যয় হচ্ছে। এই অবস্থায় ফলন ভালো হলেও তা হাসি ফোটাতে পারছে না এখানকার কৃষকদের মুখে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চারঘাট উপজেলায় গত বছর ২ হাজার ১৩৭ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছিল। চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৩ হাজার ৫১৭ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে, যা গত বছরের চেয়ে ১ হাজার ৩৮০ হেক্টর বেশি। কিন্তু সময়মতো জাগ দিতে না পারলে কাঙ্ক্ষিত উৎপাদন পাওয়া নিয়ে রয়েছে আশঙ্কা। এমনটা হলে কৃষকেরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন।

উপজেলার ভাটপাড়া গ্রামের কৃষক আবদুল কাদের বলেন, এ বছর তিনি চার বিঘা জমিতে পাটের আবাদ করে ভালো ফলন পেয়েছেন। কিন্তু আশপাশের কোথাও জাগ দেওয়ার মতো পানি না থাকায় দুই বিঘা জমির পাট কেটে তা আরও প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরের একটি জলাশয়ে নিয়ে যেতে হয়েছে। এতে তাঁর পরিবহন খরচ বেড়ে গেছে। বেড়েছে শ্রমিকের মজুরি খরচও।

আবদুল কাদের আরও বলেন, ‘জাগ দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত পানি না পাওয়ায় দুই বিঘা জমির পাট এখনো কাটতে পারিনি। জমিতেই অনেক গাছ নষ্ট হয়ে গেছে। সেগুলো থেকে আর আঁশ পাওয়া যাবে না।’

একই অবস্থা এই উপজেলার বালুদিয়াড় গ্রামের কৃষক বাছের মণ্ডলের। পানির অভাবে তাঁর দুই বিঘা জমিতে লাগানো পাটগাছের পুরোটাই এর মধ্যে নষ্ট হয়ে গেছে। তাই বাকি দেড় বিঘা জমির পাট কৃত্রিম খাল তৈরি করে শ্যালো মেশিনের মাধ্যমে সেচের পানি দিয়ে জাগ দিয়েছেন।

পাটের পাইকারি ব্যবসায়ী উপজেলা সদরের বাসিন্দা জিল্লুর রহমান বলেন, বর্তমানে প্রতি মণ ভালো মানের পাট ৩ হাজার ১০০ থেকে ৩ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাটের এই দর গত বছরের তুলনায় বেশি। গত বছর একই সময়ে এই পাট ২ হাজার ৭০০ থেকে ২ হাজার ৮০০ টাকা মণ বিক্রি হয়েছিল। পানি না থাকার ফলে যেখানে-সেখানে পাট জাগ দেওয়ায় পাটের গুণগত মান নষ্ট হচ্ছে, আঁশের রং কালো হয়ে যাচ্ছে। এতে অনেক চাষি পাটের ভালো দাম পাচ্ছেন না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ লুৎফুন নাহার বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোর তুলনায় চলতি মৌসুমে চারঘাটে সর্বাধিক পাটের আবাদ হয়েছে। কিন্তু বর্ষার ভরা মৌসুমেও বৃষ্টি না থাকায় কৃষকেরা পাট জাগ দিতে পারছেন না। অনেক জমির পাট জমিতেই শুকিয়ে নষ্ট হচ্ছে। তবে কয়েক দিনের মধ্যে বৃষ্টিপাত হলে কৃষকেরা ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবেন।

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ