হোম > ছাপা সংস্করণ

ঘেরে বিলীন হচ্ছে সড়ক

এইচ এম মইনুল ইসলাম, মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট)

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়ক ঘেরের কারণে বিলীন হওয়ার উপক্রম হয়েছে। উপজেলার জিউধরা ইউনিয়নের জয়বাংলা বাজার হয়ে ঘরামির বাজার পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার ইটের সলিং সড়কটি ঘেরের পাড় হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ায় এর পাশে থাকা সামাজিক বনায়নের গাছগুলো ভেঙে পড়েছে। ইটসহ সড়কের মাটি ধুয়ে ঘেরের মধ্যে নেমে গেছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ছয়-সাতটি গ্রামের মানুষ। এ সড়ক থেকে এখন আর ভ্যানগাড়িও চলতে পারে না।

জানা গেছে, সড়কটি থেকে মোরেলগঞ্জ উপজেলা শহর, লক্ষীখালী বাজার, জিউধরা বাজার, মাদ্রাসা বাজার, ইউনিয়ন পরিষদ, চন্দনতলা, বটতলা, ঠাকুরাইনতলা, বরইতলা, জিউধরা ও সীমান্তবর্তী মোংলা উপজেলায় যাতায়াতের জন্য ব্যবহৃত হতো।

এ সড়কটি দিয়ে প্রতিনিয়ত সেরজন স্মৃতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, গোপালচাঁদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণ জিউধরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বটতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঠাকুরাইনতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চন্দনতলা কমিউনিটি ক্লিনিক, সাতটি মসজিদ, শ্রীধাম লক্ষীখালীর গোপাল চাঁদ সেবাশ্রমসহ পাঁচটি মন্দির, চারটি খাবার পানির পুকুরে স্থানীয়রা যাতায়াত করে।

সরকারি ওই সড়কটি স্থানীয় মো. নুরুল ইসলাম মৃধা প্রায় ৪০ বিঘার একটি ঘেরের বেড়িবাঁধ হিসেবে কয়েক বছর ধরে ব্যবহার করে আসছেন। ফলে সড়কের পূর্ব পাশের সামাজিক বনায়নের কয়েক শ গাছ ঘেরের মধ্যে ভেঙে পড়েছে। একই সঙ্গে সরকারি এ সড়কটির ইটসহ মাটিও ধুয়ে নেমে গেছে।

২০০২ সালে সরকারিভাবে এ সড়কটিতে ইটের সলিং করা হয়। এরপর আর সংস্কার করা হয়নি। ১২ ফুট চওড়া ইটের সলিং সড়কটিতে এখন ভ্যান চলার মতো জায়গা নেই। এখন এ সড়ক থেকে শুধু পায়ে হেঁটেই চলাচল সম্ভব।

স্থানীয় বাসিন্দা মাহতাব মৃধা, কামাল মৃধা, বেনীমাদব মিস্ত্রীসহ স্থানীয়রা বলেন, সাত-আট বছর ধরে তাঁরা ভুগছেন। বর্ষা মৌসুমে ছেলে-মেয়েদের স্কুলে যাওয়াও বন্ধ হয়ে যায়। কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লেও চিকিৎসার জন্য এখান থেকে দ্রুত শহরে নেওয়া সম্ভব হয় না। ভুক্তভোগীরা সড়কটি পুনর্নির্মাণের দাবি জানান।

অভিযুক্ত ঘের মালিক নুরুল ইসলাম মৃধা বলেন, স্থানীয় কবির ঘরামীসহ কয়েকজনে মিলে ঘেরটি করছেন। সড়কের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। শিগগিরই সড়কের পাশে বাঁধ দিয়ে ঘের করা হবে। যাতে সড়কটি আর ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।

ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলম বাদশা বলেন, ঘের ব্যবসায়ীদের সড়ক ছেড়ে পৃথক বেড়িবাঁধ দিয়ে ঘের করার জন্য বলা হয়েছে। কিন্তু তাঁরা তা না মেনে সড়কটিকে ঘেরের পাড় হিসেবে ব্যবহার করে সড়কের অনেক ক্ষতি করেছেন। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকেও জানানো হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, শিগগিরই বিষয়টি সরেজমিনে পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ

সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ প্রাণহানি

সেকশন