নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
শীতকাল হওয়ায় বাজারে সবজির সরবরাহ স্বাভাবিকভাবে ভালো। শীতে খাল-বিল, হাওর শুকিয়ে যাওয়ায় মাছের সরবরাহে মোটামুটি ঘাটতি নেই। মাছ-সবজির দামও কমতির দিকে। ফলে অন্য বছরের মতো এ মৌসুমে ডালের চাহিদা কমার কথা। কিন্তু এ বছর তেমনটা হয়নি। রাজধানী ঢাকার পাইকারি ও খুচরা বাজারে সম্প্রতি সব ধরনের ডালের দাম বেড়েছে।
রাজধানীর পাইকারি ডালের সর্ববৃহৎ বাজার পুরান ঢাকার রহমতগঞ্জের মেসার্স এস আলম এন্টারপ্রাইজের মালিক আলী আজগর জানান, তিন দিনের ব্যবধানে তাঁদের বাজারে সব ধরনের ডালের দাম কেজিতে ৩-৪ টাকা বেড়েছে। তবে বাজারে বিক্রি অনেক কম।
আলী আজগরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আগে মোটা দানার মসুর ডালের দাম ছিল কেজি ৮২-৮৩ টাকা। গতকাল তা ৮৫-৮৬ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ৮৯-৯০ টাকার মাঝারি মানের মসুর ডাল ৯২-৯৩ টাকা, ১১০-১১২ টাকার সরু দানার মসুর ডাল ১১২-১১৪ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ৪২ টাকার অ্যাংকর ডাল ৪৮ টাকা, ৬৬-৬৮ টাকার বাছাই ছোলার ডাল বিক্রি হয়েছে ৭০-৭২ টাকায়।
তবে গতকাল রোববার রাজধানীর খুচরা বাজারে মোটা দানার মসুর ডাল কেজিতে ১০০-১১০ টাকা, মাঝারি মানের ১১৫-১২০ টাকা এবং সরু দানার ১২০-১২৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। এ ছাড়া ছোলার বাছাই ডাল এবং অ্যাংকর ডাল বিক্রি হয়েছে যথাক্রমে ৭৫-৭৮ টাকা এবং ৫২-৫৪ টাকা কেজি।
রাজধানীর পূর্ব রামপুরা বাজারের খুচরা ডাল ব্যবসায়ী আরমান আলী জানান, গত সপ্তাহের পর তাঁর দোকানে কোনো ডাল আনা হয়নি। দাম চড়া হওয়ায় এমনটি হয়েছে। পণ্যটির দাম এক মাস ধরেই চড়া বলেও জানান তিনি।
এ প্রসঙ্গে রহমতগঞ্জের ডালের মিলমালিক ওমর আলী চুন্নু বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে ডালের দাম বেশি। ডলারের বিপরীতে টাকার দাম কমায় জাহাজভাড়াসহ সব ধরনের পরিবহন ভাড়া বেড়েছে। এসব কারণে বাজারে ডালের দাম বাড়তি।’
কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে বছরে মসুর ডালের চাহিদা রয়েছে ৫ লাখ টন। শুধু রমজান মাসে চাহিদা থাকে ৮০ হাজার টন। গত জুলাই-মার্চ ডাল আমদানি হয়েছে ১ লাখ ৮৩ হাজার টন। দেশে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ৬৬ হাজার টন।