ওয়াল শেলফ সবচেয়ে বেশি কাজে লাগে রান্নাঘরে। মসলার বয়াম, মগ, চামচ ইত্যাদি শেলফে রাখলে রান্নাঘরের জায়গা অনেক বাঁচানো যায়। তবে জিনিসপত্র ঘন ঘন পরিষ্কারের প্রয়োজন পড়ে। কারণ কেবিনেটের মতো শেলফের চারপাশ ঢাকা থাকে না।
তবে একটি ঘরের সৌন্দর্য বাড়ানোতেও ওয়াল শেলফের অবদান আছে।
শিশুদের রুমে রাখলে সেখানে খেলনা, বই ও কলমদানি রাখা যেতে পারে। সাজিয়ে-গুছিয়ে এতে বইও রাখা যায়। বিশাল লম্বা একটি শেলফ বসালে অনেক বই রাখা যাবে।
বসার ঘরে শেলফের ওপর নান্দনিক গাছসহ টব রাখলে ঘরে সবুজের ছোঁয়া পাবেন। ম্যাগাজিন, শোপিস, ডেকোরেটিভ মোমদানি, ফুলদানি, ফটোফ্রেম। সবই এতে রাখা যায়। এই শেলফ বাঁশ, প্লাস্টিক, গ্লাস ও স্টিল দিয়ে তৈরি করা যায়। তবে কাঠের তৈরি শেলফই বেশি জনপ্রিয়। কিছু শেলফের নিচে হুক থাকে। এতে চাবি ঝোলানো যায়।
দেয়ালের সঙ্গে লাগানো দুটি বা তিনটি শেলফ আলাদা করে বসানো থাকলে দেখতে বেশ ভালো লাগে। এগুলো ফ্লোটিং শেলফ। চাইলে এতে লাইট লাগিয়ে বসার ঘরে আরও বৈচিত্র্য আনা যায়।
বাথরুমে যে শেলফগুলো লাগানো হয়, সেগুলো কাচের। বড় বাথরুম না হলে অবশ্য এটা বসানো বেশ অসুবিধাজনক। বড় বাথরুম হলে তোয়ালে বা কাপড় রাখার জন্য কাচের তৈরি শেলফ বসাতে পারেন।
মেলামাইন বোর্ডের তৈরি শেলফগুলোয় খুব বেশি খরচ পড়ে না। কিছু ফেসবুক পেজ কাস্টমাইজ ডিজাইনে বানিয়ে দেয় ওয়াল শেলফ। চাইলে নিজেদের পছন্দের ডিজাইন দেখিয়েও বানাতে দেওয়া যায়। শেলফের রং কত দিন পর্যন্ত ঠিক থাকবে, তা কেনার আগে জেনে নিতে হবে। ডিজাইন ও আকারভেদে এগুলোর দাম নির্ধারিত হয়। ১ হাজার থেকে শুরু করে ৫ হাজারের মধ্যে এগুলো কেনা যায়।