হোম > ছাপা সংস্করণ

রাজধানীতে ডেঙ্গুর প্রকোপ: মশা মারতে এখনো হাত মকশো

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ডেঙ্গু মৌসুম শুরুর আগেই মশার উপদ্রব বাড়লেও নিধনে তোড়জোড় নেই ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবার ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ হওয়ার আশঙ্কা জানালেও মশকনিধন কার্যক্রম চলছে ঢিমেতালে। সিটি করপোরেশনের নানা উদ্যোগ ও পরিকল্পনার প্রতিফলন নেই মাঠপর্যায়ে। তাই এখনই মশা নির্মূলে কর্মসূচির তাগিদ দিয়েছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘২০০০ সাল থেকে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব শুরুর পর থেকে সিটি করপোরেশনের লম্ফঝম্প দেখছি। নানা উদ্যোগ-পরিকল্পনাও নিয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মশকনিধন হয়নি। ডেঙ্গুও নির্মূল হয়নি।’ তিনি বলেন, ‘গত বছরের চেয়ে এবার মশার ঘনত্ব দ্বিগুণ, অথচ দুই সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে এখনো গতানুগতিক কার্যক্রমের বাইরে পদক্ষেপের ইঙ্গিত দেখছি না।’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, গত বছরের প্রথম তিন মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত ৮৪৩ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। এবার একই সময়ে ভর্তি হয়েছে ১ হাজার ৭০৫ জন। অর্থাৎ গতবারের চেয়ে এবার আক্রান্তের হার ইতিমধ্যে দ্বিগুণের বেশি। গতবার প্রথম তিন মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত ছয়জনের মৃত্যু হলেও এ বছর একই সময়ে মারা গেছে ২২ জন। আগামী মাস (মে) থেকে শুরু হবে ডেঙ্গুর মূল মৌসুম। সাধারণত এই মৌসুম থাকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সারা বছরই ডেঙ্গু হচ্ছে।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) বলছে, ডেঙ্গু মৌসুম শুরুর আগেই তারা বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছে। ডিএনসিসির জনসংযোগ বিভাগ বলছে, মশার প্রজননস্থল ধ্বংসে ঈদের পর থেকেই মাঠে কাজ করছে তাদের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ। নতুন ওষুধ ও যন্ত্রপাতি এনে বর্ষার আগেই মশকনিধনের সব প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে। গতকাল বুধবার বিকেলে ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে সব ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে অনলাইনে সমন্বয় সভা হয়েছে। সভায় ২২ এপ্রিল থেকে ৫৪টি ওয়ার্ডেই মাসব্যাপী সচেতনতামূলক কর্মসূচি চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

গত বছর মশকনিধনে ডিএনসিসি জৈব কীটনাশক (বিটিআই) ব্যবহারের ঘোষণা দিলেও ওষুধ নিয়ে ঠিকাদারের জালিয়াতিতে তা ভেস্তে যায়। পরে ৫৪ ওয়ার্ডে কাউন্সিলরদের নেতৃত্বে টাস্কফোর্স গঠনের কথা থাকলেও অধিকাংশ ওয়ার্ডেই হয়নি।

ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, মশক নিয়ন্ত্রণে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে সচেতনতা বাড়াতে কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। মশকনিধনে নতুন ওষুধ ও যন্ত্রপাতি আনা হচ্ছে। এসব কার্যক্রমে ডেঙ্গু পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে।

এদিকে ডিএসসিসি বলছে, জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে মাইকিং, প্রচারপত্র বিলি এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সচেতনতামূলক সভা করা হচ্ছে। ডেঙ্গুর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ ওয়ার্ডগুলোতে ক্রাশ প্রোগ্রাম চালানো হবে। ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে জনসচেতনতামূলক সভা করা হবে।

জানতে চাইলে ডিএসসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির আজকের পত্রিকাকে বলেন, ডেঙ্গু নির্মূলে ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে সবাইকে সচেতন হতে হবে। সিটি করপোরেশনের একার পক্ষে ডেঙ্গু নির্মূল করা সম্ভব নয়।

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ

সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ প্রাণহানি

সেকশন