তীব্র শীতের কারণে শ্রমিকেরা দেরি করে আসায় হিলি স্থলবন্দরের পণ্য ওঠানো-নামানোর কার্যক্রমে বিলম্ব হচ্ছে। অন্যদিকে শীতে কাজ বেশি করতে না পারায় শ্রমিকদের আয় কমে গেছে। তবে বন্দর দিয়ে দুই দেশের আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে।
জানা যায়, হিলিতে গত কয়েক দিন ধরেই প্রচণ্ড শীত অব্যাহত রয়েছে। এর সঙ্গে দিনের অধিকাংশ সময় দেখা মিলছে না সূর্যের। এর সঙ্গে পুরো এলাকায় কুয়াশাচ্ছন্ন হয়ে থাকছে। যার কারণে দিনের বেলায়ও সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। সেই সঙ্গে সারা দিন বইছে ঠান্ডা বাতাস, এতে করে কনকনে শীত অনুভূত হচ্ছে। বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া দিনমজুর মানুষ।
বন্দরের শ্রমিক রবিউল ও রাজ্জাক বলেন, ‘কয়েক দিন ধরেই হিলিতে তীব্র শীত পড়েছে, সঙ্গে বৃষ্টির মতো কুয়াশা ঝরছে। এ কারণে খুব কষ্ট করে সাইকেল বা ভ্যানে করে আসতে হচ্ছে। আবার অনেক সময় ভ্যান পাওয়া যাচ্ছে না দেরি করতে হচ্ছে। যার কারণে বন্দরে আসতে অনেক দেরি হচ্ছে।’
তাঁরা আরও বলেন, ‘শীতের মধ্যে ঠিকমতো বস্তা ওঠানো-নামানো যাচ্ছে না। এতে করে কাজের পরিধি কমে গেছে। আগে যা কাজ হতো তার চেয়ে অর্ধেক কাজ হচ্ছে। যার কারণে আমাদের আয় কমে গেছে। আগে যেখানে ৪-৫শ টাকা আয় করতে পারতাম, এখন ২ থেকে আড়াই শ টাকা আয় হচ্ছে।’
হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, দেশের অন্য অঞ্চলের তুলনায় উত্তরবঙ্গে শীতের প্রকোপটা একটু বেশিই থাকে। বর্তমানে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলার কারণে হিলির আকাশ কুয়াশাচ্ছন্ন থাকছে। বেলা ২টা পর্যন্ত কুয়াশা থাকার কারণে শ্রমিকেরা আসতে দেরি করছে। যার কারণে লোড-আনলোড কার্যক্রম বিলম্বে শুরু হচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের ইনচার্জ তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘আজ দিনাজপুর অঞ্চলে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ, বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৩ থেকে ৫ কিলোমিটার বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যা ৮ থেকে ১০ কিলোমিটার পর্যন্ত উন্নীত হতে পারে। দেশের উত্তর ও উত্তর পশ্চিমাঞ্চলের কিছু কিছু স্থানে বিদ্যমান মৃদু শৈত্যপ্রবাহটি প্রশমিত বা দূরীভূত হয়েছে। ক্রমান্বয়ে আবহাওয়া পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’