২০ বছর ধরে পেটে কাঁচি বয়ে বেড়ানো বাচেনা খাতুন অবশেষে কাঁচির যন্ত্রনা থেকে মুক্ত হলেন। গতকাল সোমবার দুপুরে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তাঁর পেট থেকে কাঁচিটি বের করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে বেলা ১১টা থেকে বেলা দেড়টা পর্যন্ত আড়াই ঘণ্টা ধরে চলে এই অস্ত্রোপচার।
অস্ত্রোপচারের পর চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের সার্জারি কনসালটেন্ট ডা. ওয়ালিউর রহমান নয়ন বলেন, রোগীর পেট থেকে সেই কাঁচিটি বের করা হয়েছে। বর্তমানে রোগী সুস্থ আছেন। তিনি সদর হাসপাতালেই ভর্তি রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ২০ বছর আগে পিত্তথলির পাথর অপসারণের জন্য মেহেরপুরের গাংনীর রাজা ক্লিনিকে ভর্তি হয়েছিলেন চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার চিৎলা ইউনিয়নের হাপানিয়া গ্রামের বাচেনা খাতুন। ২০০২ সালের ২৫ মার্চ ওই ক্লিনিকে তাঁর অস্ত্রোপচার করেন ক্লিনিকের মালিক ডা. পারভিয়াস হোসেন রাজা। পেটের মধ্যে একটি ৯ ইঞ্চির কাঁচি রেখেই সম্পন্ন করা হয় অপারেশন। সেই কাঁচি পেটে নিয়ে ২০ বছর ধরে অসুস্থ সময় পার করেছেন বাচেনা খাতুন।