চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে জমে উঠেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ঈদবাজার। ঈদের কেনাকাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। ১৫ রোজার পর থেকে জেলার বিভিন্ন মার্কেটে ক্রেতাদের ভিড় বাড়তে থাকে। শহরের নিউমার্কেট, ক্লাব সুপার মার্কেট, শিল্পকলা মার্কেট, শহীদ শাটু হল মার্কেট, পুরাতন বাজারের দোকানগুলোতে উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। দিনে ও রাতে সমানতালে চলছে পোশাক বেচাবিক্রি। ফুটপাতের দোকানগুলোতেও একই ধরনের চিত্র।
প্রতিবারের মতো এবারের ঈদবাজারেও কিশোরী আর তরুণীদের প্রধান আকর্ষণ নতুন কালেকশন। এ বছর ঈদের বাজারে পুষ্পা ও কাঁচা বাদাম নামের দুটি পোশাকের প্রতি আকর্ষণ সবচেয়ে বেশি। সম্প্রতি পুষ্পা নামের দক্ষিণ ভারতের একটি সিনেমায় নায়িকা যে ধরনের পোশাক পরেছেন এবং ভাইরাল গান কাঁচা বাদামের মিউজিক ভিডিওতে গায়িকা যে পোশাক পরেছেন সেই নকশার দুটি থ্রিপিস ও লেহেঙ্গার বেশ কদর রয়েছে। লাল ও নীলসহ চার রঙের দুই ধরনের গাউন বা লেহেঙ্গা রয়েছে পুষ্পার। অন্যদিকে, কাঁচা বাদামের আছে তিন ধরনের ড্রেস। কাঁচা বাদাম, কাজু বাদাম ও চীনা বাদাম নামে বিক্রি হচ্ছে এসব থ্রিপিস।
নিউমার্কেটের পোশাক বিক্রেতা নাদিম হোসেন বলেন, ঈদের বাজারে ক্রেতারা সব সময় নতুন মডেলের নতুন নকশার পোশাক খোঁজেন। কাঁচা বাদাম নতুন পোশাক হওয়ায় এটির বিক্রিও বেশ ভালো। এক হাজার থেকে তিন হাজার টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে এই কাঁচা বাদাম থ্রিপিস।
শিল্পকলা মার্কেটের জুনায়েদ ফ্যাশনের মালিক জিয়াউর রহমান বলেন, এবারের ঈদে পুষ্পা ও কাঁচা বাদাম নামের যে পোশাকগুলো বের হয়েছে সেগুলো বেশ ভালোই বিক্রি হচ্ছে। এবারের পুরো ঈদ বাজার জুড়ে পুষ্পা ও কাঁচা বাদাম থ্রিপিসের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তিনি আরও বলেন, পুষ্পা পোশাকটি মূলত লেহেঙ্গা বা গাউন ধরনের। সিঙ্গেল ও ডাবল পুষ্পা গাউন বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। সিঙ্গেলগুলো ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার ও ডাবলগুলো ৬ হাজার থেকে ৮ হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
ফ্যাশন কর্নারের স্বত্বাধিকারী আমির আলী বলেন, ১৫ রোজার পর থেকে ক্রেতাদের অনেক চাহিদা রয়েছে কাঁচা বাদাম পোশাকে। কিছুটা দাম বেশি হলেও পোশাকগুলো মানসম্মত।
তবে ক্রেতাদের অভিযোগ, আগের চেয়ে পোশাকের দাম বাড়লেও সেই তুলনায় কাপড়ের মান বাড়েনি। নিউ মার্কেটে পুষ্পা গাউন কিনতে এসে এক কলেজছাত্রী বলেন, পোশাকের মান নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। তবে দামটা একটু বেশি নিচ্ছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহবুব আলম খান বলেন, সাধারণত ঈদের আগ মুহূর্তে অনেকেই গভীর রাত পর্যন্ত কেনাকাটা করে থাকেন। তাই তাদের বাজার নির্বিঘ্ন রাখতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।