হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতফেরত পাসপোর্টধারী যাত্রীদের করোনা পরীক্ষা করা হলেও পণ্যবাহী ট্রাকচালকদের এর আওতায় আনা হয়নি। এতে নতুন করে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি চালু রয়েছে বলে জানান হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন।
সোহরাব হোসেন বলেন, ‘করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন রোধে ভারতীয় ট্রাক বন্দরে আসামাত্রই জীবাণুনাশক দিয়ে স্প্রে করা হয়। সেই সঙ্গে চালকদের তাপমাত্রা পরিমাপ করা হচ্ছে। গাড়িতে রাখা পণ্যের কাগজপত্র নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে বিশেষ ঝুড়ির মাধ্যমে সংগ্রহ করে যাবতীয় কার্যক্রম করা হয়। বন্দরের ভেতরে ট্রাক প্রবেশের পর আনলোড হওয়া পর্যন্ত চালকদের একটি নির্দিষ্ট স্থানে রাখা হচ্ছে। তবে ওমিক্রন বিষয়ে একটি সভা হয়েছে; কিন্তু নতুন করে সরকারি কোনো নির্দেশনা পাইনি। ভারতে যেভাবে ওমিক্রন বাড়ছে, এ জন্য আমরা আতঙ্কে রয়েছি। সরকারি নির্দেশনা পেলে সে মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
জানা যায়, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে গড়ে প্রতিদিন ১৮০ থেকে ২০০ পণ্যবাহী ট্রাকের সঙ্গে চালকও আসেন। যাঁদের কাউকেই করোনার পরীক্ষার আওতায় আনা হয়নি। যদিও করোনার কারণে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে যাত্রী যাওয়া বন্ধ রয়েছে, তবে ভারত থেকে মাঝেমধ্যে দু-চারজন পাসপোর্টধারী যাত্রী দেশে ফিরছেন।
ট্রাকচালক সুরজ মণ্ডল বলেন, ‘আমরা ভারত থেকে পণ্যবাহী ট্রাক নিয়ে বাংলাদেশে এসেছি। আমাদের ভারতে করোনা অনেকাংশে বেড়ে গেছে, যার কারণে আমরা খুব আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি।’
বাংলাদেশের ট্রাকচালক হাসেম আলী বলেন, ‘ভারতের পশ্চিমবঙ্গে করোনা বেড়ে গেছে। কিন্তু ভারত থেকে আসা ট্রাকচালকেরা কোনো স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। এতে করে আমরা আতঙ্কে রয়েছি। তাই তাঁদের যেন করোনা পরীক্ষার আওতায় আনা হয়, আলাদা রাখার ব্যবস্থা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে, সে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।’
স্থানীয় এলাকাবাসী রবিউল ও সুইট বলেন, ‘ইতিমধ্যে ভারতে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন শনাক্তের হার বেড়েছে। সে কারণে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। অনেক স্থানে রাত্রিকালীন বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। কিন্তু হিলি স্থলবন্দরে আসা ভারতের ট্রাকচালকদের কারণে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।’