Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

পুষ্টিহীনতায় শিশুর চুল নিষ্প্রভ হয়ে পড়ে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক

পুষ্টিহীনতায় শিশুর চুল নিষ্প্রভ হয়ে পড়ে

প্রশ্ন: আমার মেয়ের বয়স ১০ বছর হলো, এ মাসে। তার চুল খুব একটা উজ্জ্বল নয়। কী করলে চুলের উজ্জ্বলতা বাড়তে ও চুল সুস্থ থাকতে পারে?

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, রংপুর

এ বয়সে চুল নিষ্প্রভ হয়ে যাওয়ার প্রধান কারণ শরীরে পুষ্টির ঘাটতি। এ ছাড়া সঠিক শ্যাম্পু ব্যবহার না করলেও শিশুদের চুল নিষ্প্রভ হয়ে যেতে পারে। কোনো রাসায়নিক বা ক্ষারজাতীয় উপাদানযুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করলেও চুল উজ্জ্বলতা হারায়। কিছু কিছু বেবি শ্যাম্পুতেও সিলিকন সালফেট দেওয়া থাকে। এসব উপাদান নেই এমন শ্যাম্পু তাদের জন্য বেছে নিতে হবে। অনেক সময় মায়েরা হেয়ার ড্রায়ারের হিট মুড দিয়ে মেয়েদের ভেজা চুল শুকিয়ে দেন। এই হিটের কারণেও চুল রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। অনেক সময় সূর্যের কড়া রশ্মি এবং ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণেও চুল এমন হয়ে যেতে পারে। চুল যেহেতু প্রোটিন দিয়ে তৈরি, তাই প্রোটিনজাতীয় খাবার সন্তানের জন্য নিশ্চিত করতে হবে। ডিমে রয়েছে ওমেগা৩, প্রোটিন ও বায়োটিন। দুধ ও টক দইয়ে রয়েছে প্রোবায়োটিকস ও প্রোটিন; গাজর ও মিষ্টি আলু চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সহায়তা করে। এ ছাড়া ভিটামিন সি-যুক্ত খাবার, যেমন আমলকী, লেবু, কাঁচা মরিচ ও পালংশাক সন্তানের খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে। এ ছাড়া ডার্মাটোলজিস্ট দেখালে তিনি শিশুর শরীরে ভিটামিনের ঘাটতি রয়েছে কি না, যেমন ভিটামিন ডি ও আয়রনের ঘাটতি আছে কি না, তা পরীক্ষা করাতে বলবেন। সে অনুযায়ী সম্পূরক দিতে পারেন। শিশুর চুলের কন্ডিশনিংয়ের জন্য ভালো হচ্ছে অয়েল ম্যাসাজ। খুব ভালো হয় যদি খাঁটি নারকেল তেল অথবা আমন্ড অয়েল ব্যবহার করা যায়। চিরুনির পরিচ্ছন্নতার দিকে নজর রাখতে হবে এবং নরম তোয়ালে দিয়ে নরম হাতে চুল মুছতে হয়। তা ছাড়া চুলের আগা নির্দিষ্ট সময় পরপর ছেঁটে ফেলতে হবে। 

ডা. তাওহীদা রহমান ইরিন,চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ, শিওর সেল মেডিকেল বাংলাদেশ

প্রশ্ন: আমার বয়স ৫৫ বছর। ডায়াবেটিস আছে। হাত-পা খুব জ্বালাপোড়া করে। কখনো কখনো সুই ফোঁটার মতো বিঁধে বা ঝিমঝিম, অবশ লাগে। ডাক্তার বলেছেন, ডায়াবেটিস বেড়ে গেলে এমন হয়, নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। কিন্তু হাঁটা ছাড়া আর কী কী ব্যায়াম 
করতে পারি?

লুনা ফেরদৌসী, খুলনা

হাত-পায়ে জ্বালাপোড়ার বা পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথির বড় কারণ হলো অনিয়ন্ত্রিত ও দীর্ঘদিনের ডায়াবেটিস। রক্তে শর্করার আধিক্য ধীরে ধীরে হাত-পায়ের স্নায়ুকে ধ্বংস করে এ ধরনের উপসর্গ সৃষ্টি করে। অনেক সময় কিডনি ও থাইরয়েড সমস্যা, শরীরে ভিটামিন ‘বি ১২’ ও ‘বি ১’-এর অভাব, রিউমাটায়েড আর্থ্রাইটিস ইত্যাদি রোগ থাকলেও এ রকম হয়ে থাকে। ডায়াবেটিসের রোগীদের রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে, হাত-পায়ের আলাদা যত্ন নিতে হবে। একটি চেয়ারের কাছাকাছি দাঁড়ান। খেয়াল রাখুন, যেন পায়ের পাতা কাছাকাছি থাকে। এবার চেয়ারটিকে ধরে এক পা পাশের দিকে সরিয়ে নিন। দুই থেকে তিন সেকেন্ড ধরে রাখুন। আবার পা আগের জায়গায় নিয়ে আসুন। এবার অন্য পায়ের একই কাজ করুন। এটা দশবার করে করুন, দিনে দুই বেলা। এ ছাড়া একটি চেয়ারের পেছনে দাঁড়ান। এবার দুই পায়ের আঙুলে ভর করে, পায়ের গোড়ালি উঠিয়ে দাঁড়ান। দশ সেকেন্ড ধরে রেখে আবার আগের জায়গায় ফিরে আসুন। এভাবে দশবার করুন।

সকালে ঘুম থেকে উঠে পায়ের নিচে বল বা বোতল নিয়ে রোল করতে পারেন। যাঁদের স্নায়ু বেশি ক্ষতিগ্রস্ত বা অনুভূতি কম, তাঁরা গরম বা ঠান্ডা পানির সেঁক দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। প্যাসিভ মুভমেন্ট বা অন্য কেউ করিয়ে দিতে পারে—এমন ব্যায়াম বা হাত-পায়ের নড়াচড়া করা উচিত। অনেক সময় ম্যাসাজ বা মাংসপেশির মালিশ ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। তবে তা অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শে করা প্রয়োজন।

উম্মে শায়লা রুমকী, যুক্তরাজ্যে রেজিস্টার্ড ফিজিওথেরাপিস্ট, পিটিআরসি  

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ