হোম > ছাপা সংস্করণ

রক্তের শত বাঁধনে বাঁধা তাঁদের জীবন

মুহাম্মদ শফিকুর রহমান

ক্রিকেটে সেঞ্চুরি বা ডাবল সেঞ্চুরি করতে পারলেই অনেক বড় খবর। সেঞ্চুরি তো আরও কতভাবে কতজনই করছেন, তাঁদের বেশির ভাগের নাম জানা যায় না। যেমন অনেকে আছেন নিয়মিত রক্ত দেন। শুরুতে হয়তো তাঁরা এত কিছু ভাবেননি, কিন্তু একসময় দেখা যায়, শতবার দিয়েছেন। কোথাও কারও রক্তের প্রয়োজনে ছুটে যান রক্ত দিতে। বিপদে পড়া মানুষের এতে কতই-না উপকার হয়। আজ ১৪ জুন বিশ্ব রক্তদাতা দিবস। এই দিনে এমন চারজন ‘সেঞ্চুরিয়ান’ রক্তদাতার গল্প জেনে নেওয়া যায়।

অপেক্ষা ডাবল সেঞ্চুরির
১৮ বছর বা তার চেয়ে বেশি বয়সী একজন সুস্থ মানুষ নিয়মিত বিরতিতে রক্ত দিতে পারেন। ঠিক সেই বয়সেই মো. জাভেদ নাছিম 
কীভাবে যেন জেনেছিলেন, রক্ত দিলে জ্বর হয়! কথাটি শুনে তিনি কৌতূহলবশে ঠিক করেন, একবার রক্ত দিয়ে দেখবেন, জ্বর আসে কি না। এরই মধ্যে কলেজে রক্ত সংগ্রহকারী স্বেচ্ছাসেবী একটি সংগঠন এলে তিনি রক্ত দেওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করলেন না। সেই হলো শুরু। এখন জাভেদের বয়স ৫৪। তাঁর দাবি, এ পর্যন্ত ১৮৯ বার রক্ত দিয়েছেন। এর মধ্যে ১২৮ বার পুরো ব্যাগ রক্ত, ৫৮ বার শিশুদের এবং ৩ বার প্লাটিলেট। 

কুমিল্লার মুরাদনগরে গ্রামের বাড়ি হলেও মো. জাভেদ নাছিম পরিবার নিয়ে থাকেন ঢাকার জুরাইনে। এখন রক্ত দেওয়াই যেন তাঁর ধ্যানজ্ঞান। নইলে কি আর ছেলের মরদেহ হাসপাতালে রেখে লুকিয়ে অন্য সংকটাপন্ন রোগীকে কেউ রক্ত দিতে যান? 

রক্ত দিতে গিয়েই পরিচয়, এরপর পরিণয়
কিশোরগঞ্জের ভৈরবের নজরুল ইসলাম এ পর্যন্ত রক্ত দিয়েছেন ১১৪ বার। এর মধ্যে হোল ব্লাড ৪৮ বার এবং প্লাটিলেট ৬৬ বার। গরিব রোগীদের সাহায্য করতে রক্ত দেওয়া শুরু করেন নজরুল। দেশে তো বটেই, ২০০৬ সালে ভারতের চেন্নাইয়েও রক্ত পাঠান তিনি।

নজরুল ও তাঁর স্ত্রী পাপিয়া বিভিন্ন জায়গায় সাইকেলে ভ্রমণ করে মানুষকে রক্তের গ্রুপ টেস্ট ও রক্তদানে উৎসাহিত করেছেন। এর আগে নজরুল টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া ভ্রমণ করেছেন একই কাজে। রক্ত সংগ্রহ করতে গিয়েই তাঁদের পরিচয় এবং সেখান থেকে পরিণয়। 

আঠারোতেই শুরু তাঁর
নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা মোশারফ একজন স্বেচ্ছায় রক্তদাতা। তিনি জানিয়েছেন, চিকিৎসকদের কাছে জানতে পারেন, নিয়মিত রক্ত দিলে কোনো সমস্যা তো হয়ই না, বরং কিছু লাভও আছে। রক্ত দিলে তবে আর সমস্যা কি। যেই ভাবা সেই কাজ। ১৮ বছর বয়সে শুরু করেছিলেন রক্ত দেওয়া, এখন ৪৬। কোনো মুমূর্ষু রোগীর রক্তের প্রয়োজন শুনলেই সেখানে হাজির হন মোশারফ। এ পর্যন্ত ১৩২ বার রক্ত দিয়েছেন তিনি। এর মধ্যে হোল ব্লাড ১০৪ বার আর প্লাটিলেট ২৮ বার।
 
দুজনকে দিয়েছেন ৭৫ বার
কলেজে পড়ার সময় রক্তদানের কথা জানতে পারেন মোহাম্মদ আবদুর রহিম। আঠারো বছর পূর্ণ হওয়ার কিছুদিন পরেই প্রথম রক্ত দেন। এ পর্যন্ত ১২২ বার রক্ত দিয়েছেন মোহাম্মদ আবদুর রহিম। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শন বিষয়ে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করে এখন দাগনভূঞার ইকবাল মেমোরিয়াল সরকারি কলেজে শিক্ষকতা করছেন। একজন থ্যালাসেমিয়া রোগীকে ৪০ বার এবং অন্য একজনকে ৩৫ বার রক্ত দিয়েছেন আবদুর রহিম।

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ

সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ প্রাণহানি

সেকশন