Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

কোটি টাকার কাঁচামরিচ বিক্রি

জসিম উদ্দিন, নীলফামারী

কোটি টাকার কাঁচামরিচ বিক্রি

হাটের নাম পাগলীমার হাট। প্রতিদিন ভোর থেকে বিকেল পর্যন্ত এখানে ৮-১০ হাজার মণ কাঁচামরিচ কেনাবেচা হয়; যা গড়ে কোটি টাকার ওপরে। নীলফামারীর ডোমার উপজেলার মটুকপুর ইউনিয়নে এ হাটের অবস্থান। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এখানকার মরিচ যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, পাগলীমার হাটে ডোমার, ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলা ছাড়াও পার্শ্ববর্তী পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জের চাষিরা তাঁদের খেতের মরিচ নিয়ে আসেন। পাশাপাশি এসব এলাকার বাইরে দেশের বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ীরা আসেন মরিচ কিনতে। শুধু মরিচ ব্যবসাকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে পাগলীমার হাট। এখানে রয়েছে অর্ধশতাধিক আড়ত।

হাটে আসা ডিমলার চাষি আমিনুর রহমান জানান, ফলন বাম্পার হলেও কিছু মরিচ ছিদ্রকারী পোকার আক্রমণে চিন্তিত তাঁরা। নিজেরাই স্থানীয় বাজারে কীটনাশকের দোকান থেকে ওষুধ কিনে খেতে স্প্রে করছেন। কৃষি অফিস থেকে কোনো ধরনের পরামর্শ মেলে না বলে অভিযোগ তাঁদের। তবে দাম ভালো আর মরিচের চাহিদা ব্যাপক হওয়ায় অধিক মুনাফা লাভের স্বপ্ন দেখছেন তাঁরা।

জলঢাকার মরিচচাষি আবুল হোসেন বলেন, ‘আমি তিন বিঘা জমিতে মরিচের চাষ করছি। পোকার আক্রমণে প্রতি সপ্তাহে স্প্রে করতে হয়। এখন পর্যন্ত ৩০ থেকে ৪৫ হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে। লাখখানেক টাকার বিক্রি করেছি। আবহাওয়া যদি ভালো থাকে, আরও এক লাখ টাকার মরিচ বিক্রি করতে পারব।’

সাতক্ষীরা থেকে আসা পাইকার আজাহার আলী বলেন, ‘কয়েক বছর ধরে আমি এই হাটে মরিচ কেনাকাটা করছি। এখান থেকে বিভিন্ন জাতের মরিচ কিনে নিয়ে যাই। টাকা লেনদেন বা বাড়তি কোনো ঝামেলা নেই। অনেক সময় হাটে না এসেও ব্যাংকে টাকা পাঠিয়ে এখানকার আড়ত থেকে মরিচ কিনে থাকি। এসব সুবিধার জন্য দক্ষিণাঞ্চলের অনেক পাইকার এখান থেকে মরিচ কিনে থাকেন।’

পাগলীমার হাটের ইজারাদার রোমান কবির বলেন, ‘টাকা দিয়ে হাট ইজারা নিলেও কৃষকদের বিশেষ সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকি। এ ছাড়া বাইরে থেকে আসা পাইকারদের যাতে কোনো ধরনের সমস্যা না হয়, সে দিকটা খেয়াল রাখি। যাতে তাঁরা নিশ্চিন্তে ব্যবসা করতে পারেন। এ ছাড়া প্রশাসনের নজরদারি রয়েছে এ হাটের ওপর।’

হাটের আড়তদার সমিতির সভাপতি এনতাজুল হক আজকের পত্রিকা জানান, মরিচের মৌসুমে প্রতিদিন এ হাট বসে। এ সময় এখানে ৮-১০ হাজার মণ মরিচ কেনাবেচা হয়। এখানকার মরিচ সিরাজগঞ্জ, পাবনা, যশোর, সাতক্ষীরা, কুষ্টিয়া ও খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যায়। এই হাটটি উত্তরাঞ্চলে মরিচের জন্য বিখ্যাত। প্রায় ১৫ বছর ধরে এই হাটে মরিচ বেচাকেনায় যুক্ত আছি। আশপাশের কয়েকটি উপজেলার চাষিরা এখানে মরিচ বিক্রি করতে আসেন।

ডোমার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আনিছুজ্জামান বলেন, উপজেলায় এ বছর মরিচের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭৫০ হেক্টর। তার মধ্যে আমরা ৭৮০ হেক্টর অর্জন করেছি। এ বছর মরিচের ফলন ও দাম দুটোই ভালো। লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় মরিচের উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি বাজারে ভালো দাম থাকায় কৃষকরাও লাভবান হচ্ছেন। এই সময় মরিচের কিছু সমস্যা দেখা দেয়। সাধারণত ছিদ্রকারী একটা পোকা মরিচে আক্রমণ করে থাকে। পোকা দমনে কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি। আমাদের ব্লকে যাঁরা আছেন, তাঁরাও পরামর্শ দিচ্ছেন। এ ক্ষেত্রে যদি কৃষকেরা এমামেকটিন বেনজয়েট গ্রুপের ওষুধ ব্যবহার করেন, তাহলে বেশি উপকৃত হবেন। আমরা এই কীটনাশক এক সপ্তাহ পরপর ব্যবহার করার পরামর্শ দিচ্ছি।

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ