চারঘাট উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) জমে উঠেছে নির্বাচনী প্রচার। তবে নির্বাচনী পোস্টার নিষিদ্ধ পলিথিনে মোড়ানো হচ্ছে। নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে প্রার্থীরা এ ধরনের প্রচার চালালেও নির্বাচন কমিশন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না।
উপজেলা নির্বাচন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ছয় ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে ২৩, সাধারণ সদস্য পদে ২২৩ ও সংরক্ষিত সদস্য পদে ৭৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ৭ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে প্রার্থীরা প্রচার শুরু করেন। এতে অধিকাংশ চেয়ারম্যান ও সদস্য প্রার্থী আইন অমান্য করে নিষিদ্ধ পলিথিনে মুড়িয়ে পোস্টারিং করেছেন।
৬ ইউপির বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, চেয়ারম্যান, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত নারী সদস্য পদপ্রার্থী তাঁদের নির্বাচনী পোস্টার দীর্ঘস্থায়ী রাখতে নিষিদ্ধ পলিথিন দিয়ে মুড়িয়ে টাঙিয়েছেন। অথচ পলিথিন ব্যাগ পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। পরিবেশ সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী, পলিথিন ব্যাগ বিক্রয়, প্রদর্শন, মজুত ও বাণিজ্যিকভাবে বিতরণ করা যাবে না।
শলুয়া ইউপির সদস্য প্রার্থী শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহারের বিষয়টি জানতাম না। কুয়াশার কারণে যাতে পোস্টার ছিঁড়ে না পড়ে, সে জন্য পলিথিন ব্যবহার করা হয়েছে। ভবিষ্যতে আর করব না।’
চারঘাট ইউপির স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মোজাম্মেল হক বলেন, ‘পলিথিন নিষিদ্ধের কথা প্রশাসনের মাধ্যমে জানতে পারি। এরপর থেকে পলিথিন ব্যবহার করব না।’
চারঘাটের পরিবেশবাদী সংগঠন শেড অব নেচারের সভাপতি রফিকুল ইসলাম বলেন, পলিথিন পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এ জন্য আইন করে পলিথিন উৎপাদন, বিপণন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সেই পরিবেশবিধ্বংসী নিষিদ্ধ পলিথিনের পোস্টারে ছেয়ে গেছে উপজেলার সব ইউপি। যাঁরা ইউপি দূষণমুক্ত ও পরিচ্ছন্ন করার অঙ্গীকার করছেন; সেই চেয়ারম্যান ও সদস্য প্রার্থীরাই পলিথিনের পোস্টার টানিয়ে পরিবেশ দূষণ করছেন।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রবিউল আলম বলেন, নির্বাচনের প্রচারকাজে নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহারের নিয়ম নেই। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তাদের জানানো হবে। এ ছাড়া নির্বাচনী আচরণবিধি বাস্তবায়নে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে রয়েছেন।