টঙ্গীবাড়ী (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি
মুন্সিগঞ্জের টঙ্গীবাড়ীর ইছামতী নদীতে ট্রলারে নিয়ে যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে। নদীর দুই পাশে দুই উপজেলা। পূর্ব পাশে টঙ্গীবাড়ি ও পশ্চিম পাশে লৌহজং।
লৌহজংয়ের খিদিরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের বাসুদিয়া, খিদিরপাড়া, ফুলকুচি, মালনী, মিঠুসার ও খলাপাড়া গ্রামের বেশির ভাগ মানুষই হাট-বাজার, চিকিৎসা, ব্যাংক লেনদেন, ছেলে মেয়েদের পড়াশোনাসহ বিভিন্ন সেবার জন্য টঙ্গীবাড়ি যান।
টঙ্গীবাড়ির বালিগাঁও বাজারসংলগ্ন ইছামতী নদীটি দিয়ে রাজধানী ঢাকার সদরঘাট থেকে লঞ্চে ফরিদপুর, মাদারীপুর, বরিশালসহ বিভিন্ন জেলায় সাধারণ মানুষ যাতায়াত করতেন। এখন সে নদীটি ড্রেজিংয়ের অভাবে নালায় পরিণত হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার বালিগাঁও বাজারে ইছামতী নদীর পাড়ে গিয়ে দেখা যায় ভাঙা কাঠের পাটাতন দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে ট্রলারে উঠানামা করছেন এই পথে চলাচলকারীরা। লাইফ জ্যাকেট ছাড়াই পাড় হচ্ছে ছোট ছোট স্কুলপড়ুয়া শিশুরা। মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্য বিধি। ছোট শিশু, বয়স্ক ব্যক্তিরা গাদাগাদি করে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা রাজীব হোসেন জানান, এক সময় এই নদী দিয়ে বড় বড় লঞ্চ চলাচল করত কিন্তু এখন সেই নদীটি খননের অভাবে খালে পরিণত হয়েছে। এই খাল পার হয়ে সবাইকে টঙ্গীবাড়ী যাওয়া আসা করতে হয়। এখানকার বেশির ভাগ শিক্ষার্থী বালিগাঁও স্কুলে লেখাপড়া করে। তাঁদের ঝুঁকি নিয়ে ট্রলারে পারাপার হতে হয়। একটি ব্রিজের ব্যবস্থা করা হলে এলাকার মানুষগুলোকে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হতো না।
মো. অভি হোসেন জানান, প্রতিদিন একাধিকবার এই এলাকার মানুষদের ট্রলার দিয়ে পারাপার হতে হয়। গাদাগাদি করে পারাপারের সময় ট্রলার ডুবে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে।
খিদিরপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন জানান, এপারে ট্রলারে উঠানামা করার জন্য পাকা সিঁড়ি করে দেওয়া হয়েছে কিন্তু বালিগাঁও বাজার থেকে উঠানামার ব্যবস্থা ঝুঁকিপূর্ণ। সবাইকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে মাস্ক পরে চলাচল করা উচিত।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা তানজিম অন্তরা আজকের পত্রিকাকে জানান, সরকারি নির্দেশনা মেনে মাস্ক পরে নৌ-যানে যাত্রী পারাপার করা উচিত। পারাপারের সময় সবাইকে লাইফ জ্যাকেট পড়ে পার হওয়া দরকার। সরকারি আদেশ অমান্য করে নৌযান চলাচল করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও জানান ব্রিজের বিষয়টি সরেজমিনে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।