যমুনা নদীর পানি কমলেও সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলার নাটুয়ারপাড়া রক্ষা বাঁধের দক্ষিণ পাশে অস্থায়ী হাটের জায়গায় দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙন। গত এপ্রিল মাস থেকে চারবার থেমে থেমে নাটুয়ারপাড়া রক্ষা বাঁধ এবং আশপাশের এলাকায় ধস নামে। এতে বিপাকে পড়েছেন নাটুয়ারপাড়া হাটে আসা ব্যবসায়ীরা।
জানা গেছে, কাজীপুরের সবচেয়ে বড় হাট এটি। নাটুয়ারপাড়া রক্ষা বাঁধটি নির্মাণের পর এর উভয় পাশে কয়েক শ একর জমি ভাঙনের কবল থেকে রক্ষা পায়। আর এসব জমিতে রোপণ করা বিভিন্ন ফসল নাটুয়ারপাড়া হাটে বিক্রি হয়। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাইকারী ব্যবসায়ীরা আসেন এই হাটে। কিন্তু নদীভাঙনের ফলে স্থান সংকুলান হচ্ছে না। নতুন করে এই জায়গা ভাঙনের কবলে পড়ায় এই সমস্যা আরও প্রকট আকার ধারণ করেছে।
নাটুয়ারপাড়া হাটে আসা ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘প্রতি হাটে ফসল নিয়ে এখানে আসি। আজকেও (শনিবার) এসেছিলাম ভুট্টা নিয়া। এসে দেখি, গত হাটে যে স্থানে ভুট্টা নিয়ে বসলাম, আজ দেখি সব ভেঙে গেছে।’
ব্যবসায়ী আবুল কালাম বলেন, ‘চরের উৎপাদিত ফসল নাটুয়ারপাড়া হাটে বিক্রি হয়। তবে হাট এলাকায় নদীভাঙন শুরু হওয়ায় ব্যবসা নিয়ে চিন্তায় আছি। ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।’
নাটুয়ারপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও হাটের ইজারাদার আব্দুর রহিম জানান, প্রতিদিনই হাটের কিছু না কিছু অংশ ভেঙে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ব্যবসায়ীরা দোকানঘর অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন। ভাঙন রোধে ব্যবস্থা না নিলে হাটের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাবে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী হায়দার আলী জানান, যমুনার বাম তীর রক্ষার কোনো নীতিমালা না থাকায় ভাঙন রোধে কাজ করা যাচ্ছে না।
কাজীপুর ইউএনও জাহিদ হাসান সিদ্দিকী বলেন, ‘টিআর ও কাবিখা প্রকল্পের মাধ্যমে নাটুয়ারপাড়া ও আশপাশের এলাকাকে রক্ষায় মাটির তৈরি এ বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছিল। কিন্তু পানি কমার কারণে কিছু এলাকায় ভাঙন রয়েছে। এ মুহূর্তে ভাঙন রোধে করার কিছুই নেই। স্থানীয় সংসদ সদস্য যদি পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে কথা বলে বালুর বস্তা ফেলতে পারে, তাহলে হয়তো কাজ হবে। না হলে পানি কমে গেলে ভাঙন রোধে কাজ শুরু করব।’