বাংলাদেশে চায়ের রেকর্ড উৎপাদনের পর এবার গুণগত মান বাড়াতে নজর দিচ্ছে চা বোর্ড। এ লক্ষ্যে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে গতকাল রোববার পাঁচ দিনের টি টেস্টিং অ্যান্ড কোয়ালিটি কন্ট্রোল প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন করা হয়েছে।
এ কর্মশালায় প্রথম দিন রিসোর্স পারসন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চা বিজ্ঞানী ড. মো. ইসমাইল হোসেন।
কর্মশালায় প্রথম ধাপে পঞ্চগড়, লালমনিরহাটসহ সারা দেশের বিভিন্ন চা-বাগান ও চা নিলামকারী বিভিন্ন ব্রোকার্স হাউসের ৩২ জন প্রতিনিধি অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশে এখন চায়ের উৎপাদন ক্রমবর্ধমান পর্যায়ে রয়েছে। দেশের চাহিদার তুলনায় চায়ের রেকর্ড সংখ্যক উৎপাদন হচ্ছে। রপ্তানির ক্ষেত্রে কোয়ালিটি চা উৎপাদনের কোনো বিকল্প নেই। কোয়ালিটি ধরে রেখে ২০২৫ সালে ১৪০ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করছি।’
বিটিআরআইয়ের পরিচালক ড. মোহাম্মদ আলী বলেন, টি টেস্টিং অ্যান্ড কোয়ালিটি কন্ট্রোল কোর্সটি এই ইন্ডাস্ট্রির জন্য গুরুত্বপূর্ণ কোর্স।
পিডিইউর ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ড. এ কে এম রফিকুল হক বলেন, দেশে বর্তমানে ১৬৭টি চা-বাগান রয়েছে। যার মোট আয়তন ২ লাখ ৭৯ হাজার ৪৩৯ দশমিক ৬৩ একর, এর মধ্যে চা চাষাবাদ জমি রয়েছে ১ লাখ ৫৪ হাজার ৫১৫ দশমিক ৭৯ একর। এ ছাড়া ক্ষুদ্রায়ন চা চাষাবাদ জমির পরিমাণ প্রায় ৮ হাজার ৫৭ একর।
বাংলাদেশ চা বোর্ডের শ্রীমঙ্গল প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিট (পিডিইউ) মিলনায়তনে চা উৎপাদন এবং ব্যবসার সঙ্গে জড়িতদের দক্ষতা বাড়াতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন পিডিইউ পরিচালক ড. এ কে এম রফিকুল হক।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. আশরাফুল ইসলাম।
এ সময় বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ চা গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক ড. মোহাম্মদ আলী, বাংলাদেশ চা বোর্ডের সচিব মোহাম্মদ রুহুল আমীন প্রমুখ। এ ছাড়া দেশের অন্যান্য অঞ্চল থেকে আসা চা-শিল্পের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরাও উপস্থিত ছিলেন।