নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের আগে রনি তালুকদারের সঙ্গে দেখা বিসিবির একাডেমি ভবনের সামনে। ‘সুযোগ পেলে নিজেকে প্রমাণ করতে চাই। আমার কাছে পাওয়ার প্লের রান আছে।’—আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠে বলছিলেন রনি।
ইংল্যান্ড সিরিজে টানা তিন ম্যাচে সুযোগ পেলেও নিজের প্রতিভার পুরোটা তুলে ধরতে পারেননি। রনি নিজেকে চেনালেন গতকাল। ২৪ বলে ফিফটি। ফেরার আগে করেছেন ৩৮ বলে ৬৭ রান। ম্যাচসেরা পুরস্কারও উঠেছে তাঁর হাতে। রনির দুর্ভাগ্য, ফিল্ডিং করার সময় কাঁধে চোট পাওয়ায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম পুরস্কারটাও নিজে নিতে পারেননি। তাঁর হয়ে পুরস্কার নিয়েছেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তিনি আসতে পারেননি সংবাদ সম্মেলনেও। বিসিবির সিনিয়র মিডিয়া ম্যানেজার রাবীদ ইমাম জানিয়েছেন, রনির চোট গুরুতর নয়। সুস্থ আছেন তিনি।
ম্যাচের পর রনি ফেসবুকে দিয়েছেন আবেগঘন এক স্ট্যাটাস। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘বাবা’ তোমাকে অনেক মনে পড়ছে। আমি জানি, তুমি ওপর থেকে আমাদের দেখছ।’ রনির ক্রীড়াপ্রেমী মনোরঞ্জন তালুকদার মারা গেছেন ৯ বছর আগে। তাঁর স্বপ্ন ছিল, অন্তত এক ছেলে জাতীয় দলে খেলবেন। রনি সেই স্বপ্ন পূরণ করেছেন।
বাংলাদেশ দলের হয়ে দুর্দান্ত খেলছেন, পুরস্কার পাচ্ছেন। অথচ যাঁর স্বপ্নপূরণে ছুটছেন, সেই বাবা-ই নেই। গতকাল আজকের পত্রিকাকে রনি তাই বলছিলেন, ‘বাবাকে অনেক মনে পড়ে। চোখের জল ধরে রাখতে পারি না। আমার ভালো সময় বাবাকে দেখাতে পারিনি।’
২০১৫ সালে ঘরোয়া ক্রিকেটে রানের বন্যা বইয়ে দিয়ে বাংলাদেশ দলে জায়গা পেয়েছিলেন। সেবার শুধু এক ম্যাচ সুযোগ পেয়েই বাদ পড়েছিলেন। এরপর আবার জাতীয় দলে ফিরতে ৮ বছরের বিরতি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কিছুটা ঝলক দেখালেও নিজেকে মেলে ধরার বাকি ছিল আরও। গতকাল সেই কাজটা করলেন। তবে রনি মনে করেন, যাত্রা সবে শুরু, তাঁকে যেতে হবে বহুদূর।