পাইকগাছার কপিলমুনি এলাকার মুক্ত দিবস আজ ৯ ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালের এ দিনে ৩ দিন সম্মুখ যুদ্ধের পর ১৫৫ জন রাজাকার আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে পতন ঘটে দক্ষিণ খুলনার এ রাজাকার ঘাঁটির। ওই দিন উপস্থিত হাজারো মানুষের রায়ে রাজাকারদের গুলি করে হত্যা করা হয়।
১৯৭১ সালে কপিলমুনির রায় সাহেব বিনোদ বিহারি সাধুর সুরম্য বাড়িটি পাকিস্তানি দোসররা দখলে নিয়ে সেখানে ঘাঁটি গেড়ে বসে। তখন ওই এলাকায় নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে যায়। প্রতিদিন বিকেল ৪টা থেকে ভোর ৬টা নাগাদ কার্পোজারী করা হত এলাকায়। নিরীহ মানুষদের ধরে কপোতাক্ষ নদের ফুলতলায় এনে নির্যাতন করা হত।
এর প্রতিরোধে ৫ ডিসেম্বর খুলনার সকল মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারগণ একত্রে মিলিত হয়ে রাজাকারদের এই ক্যাম্প আক্রমণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অবশেষে ৭ ডিসেম্বর মধ্যরাতে মুক্তিযোদ্ধারা চারিদিক থেকে কপিলমুনি শত্রুঘাঁটি আক্রমণ করে।
৩ দিন যুদ্ধ শেষে ৯ ডিসেম্বর বেলা ১১টার দিকে নিরস্ত্র হয়ে ১৫৫ জন রাজাকার মাইকে আত্মসমর্পণের ঘোষণা দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে আত্মসমর্পণ করে।