বাবুল আক্তার, পাইকগাছা
পাইকগাছায় গড়ইখালী ইউনিয়নের উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে একদিকে চিকিৎসক সংকট, অপরদিকে ভবনের দেয়ালে দেখা দিয়েছে ফাটল। ছাদ থেকে খসে পড়ছে পলেস্তারা। দোতলাবিশিষ্ট এ ভবনে ঝুঁকি নিয়েই চিকিৎসাসেবা নিতে আসছেন ২২ গ্রামের মানুষ।
জানা গেছে, গড়ইখালী ইউনিয়নের ১৪টি গ্রামসহ দাকোপ ও কয়রা উপজেলার ২২ গ্রামের প্রায় ৫০ হাজার মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে থাকে এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় এটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ছে। একদিকে ঝুঁকিপূর্ণ অন্যদিকে চিকিৎসক-সংকটে উপজেলা ও জেলা শহরে অতিরিক্ত খরচে সেবা নিচ্ছে এলাকাবাসী।
স্থানীয় শিক্ষক হাফিজুর রহমান জানান, ১৯২১ সালে এলাকার মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতের লক্ষ্যে স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি নির্মাণ করা হয়। পরে ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়লে পরিত্যক্ত ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। এরপর শত বছর পার হলেও পুরোনো ভবনটি অপসরণ করা হয়নি। এটি এখন বন-জঙ্গলে পরিণত হয়েছে।
গড়ইখালীর বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম জানান, প্রতিদিন দাকোপ উপজেলার গুনারী, কালাবগি, নলিয়ান, কামনেবাসিয়া, কয়রার হড্ডা, বানিয়া খালী, শুড়িখালী, হাতিয়ার ডাঙ্গা, গড়ইখালী ইউনিয়নের ১৪টি গ্রামসহ ২২ গ্রামের মানুষ চিকিৎসা সেবার জন্য এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসে।
স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার শিপন রায় বলেন, ‘এখানে একজন মেডিকেল অফিসার নিয়োগ থাকলেও তিনি মাতৃকালীন ছুটিতে আছেন। এখানে আমি ছাড়া আর কেউ নেই।