Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

স্বপ্ন ছুঁতে চায় মোহনা

রাশেদুজ্জামান, মেহেরপুর

স্বপ্ন ছুঁতে চায় মোহনা

মুজিবনগরের মেয়ে মোহনা তাবাচ্ছুম। স্বপ্ন তার আকাশ ছোঁয়া। ভাঙতে চায় সব রক্ষশীলতা। ছোটবেলা থেকেই বাবা মনিরুল ইসলামের হাত ধরে গ্রামের মাঠে ফুটবল খেলা দেখতে আসত। ধীরে ধীরে মায়া জড়িয়ে যায় ফুটবলের প্রতি। বাবার সঙ্গেই মাঠে শুরু করে খেলা। এ নিয়ে অনেকই ঠাট্টা-বিদ্রূপ করত পরিবারকে। কিন্তু পিছপা হয়নি মোহনা।

আজ ৮ মার্চ, আন্তর্জাতিক নারী দিবস। দিবসটি উপলক্ষে কথা হয় মোহনার সঙ্গে। সে জানায়, তার স্বপ্ন ও এগিয়ে চলার কথা।

মোহনার বয়স এখন ১৩ বছর। বাড়ি মেহেরপুর মুজিবনগর উপজেলার রামনগর গ্রামে। তিন ভাই বোনের মধ্যে সে বড়। গোপালনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী মোহনা প্রাথমিকে থাকতেই খেলে বঙ্গমাতা ফুটবল। এরপর বিভাগীয় পর্যায়ে। তার সঙ্গে ২১ কিশোরী বিভাগীয় পর্যায়ে খেললেও এখন খেলা ধরে রেখেছে শুধু মোহনা। সব বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে ফুটবল আনন্দে মজেছে এ কিশোরী। যদিও পরিবার কখনোই তাকে ফুটবলার বানাতে চায়নি। কিন্তু তার জেদের কাছে হার মানতে হয়েছে মা-বাবাকে। অবশেষে মোহনাকে ভর্তি করানো হয় টাঙ্গাইলের ফরহাদ হোসেন স্মৃতি ফুটবল একাডেমিতে। যা পরিচালনা করেন নারী দলের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনের ভাই গোলাম রহমান বাপন।

ছুটিতে মেহেরপুর ফিরেও ফুটবলকে ভুলে যায়নি মোহনা। সেখানে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে স্থানীয় কোচ সোহেল আহম্মেদের কাছে। মায়ের হাত ধরে মুজিবনগর কমপ্লেক্সে প্রতিদিনই অনুশীলন করতে আসে। সেখানে ছেলেদের সঙ্গে করে অনুশীলন। এরপরও বিন্দুমাত্র জড়তা নেই তার মাঝে। একজন নারী ফুটবলার হয়ে প্রতিনিধিত্ব করতে চায় দেশকে।

ফুটবল অনুশীলনের ফাঁকে কথা হয় মোহনার সঙ্গে। সে বলে, ‘এখন ফুটবলই আমার ধ্যানজ্ঞান। পড়া-লেখার পাশাপাশি ফুটবল খেলা চালিয়ে যেতে চাই। এ নিয়ে অনেকেই ঠাট্টা-বিদ্রূপ করে। আশপাশের লোকজন বলেছে, আমার বিয়ে হবে না। আবার ছেলেদের সঙ্গে অনুশীলনের সময় অনেকেই কটু কথা বলে। আমি কটাক্ষের জবাব দিতে চাই নিজে প্রতিষ্ঠিত হয়ে। নারী জাতীয় ফুটবল দলে প্রতিনিধিত্ব করে দেশের জন্য কিছু করতে চাই।’ মোহনা আরও বলে, ‘ফুটবলে আমার পছন্দের জায়গা ডিফেন্স। আমি টাঙ্গাইলে ডিফেন্সে খেলি। তিন মাস হলো ভর্তি হয়েছি। সেখানকার কোচ আমাকে খুব ভালোবাসেন। বলেছেন, এ তিন মাসে আমার অনেক উন্নতি হয়েছে। আমি কঠোর পরিশ্রম করতে নিজের লক্ষ্যে পৌঁছাতে চাই।’

মুজিবনগর কমপ্লেক্সের মাঠে বসে মেয়ের অনুশীলন উপভোগ করছেন মা পারভিনা খাতুনসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা। পারভিনা বলেন, ‘আমার স্বামী দুবাই থাকেন। আমাদের আর্থিক অবস্থা তেমন একটা ভালো নয়। মেয়ের জেদ ফুটবলার হবে। এখন আমরাও তাকে ফুটবলার বানাতে চাই। তাকে সব ধরনের সহযোগিতা করছি। অনেক কষ্ট করে টাঙ্গাইলের থাকার সব খরচ বহন করছি। আর সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা করছেন, এখানকার স্থানীয় কোচ সোহেল রানা। ভর্তি থেকে শুরু করে মোহনার খোঁজ-খবর এখন তিনিই রাখছেন।’

স্থানীয় কোচ সোহেল রানা বলেন, ‘মোহনার মধ্যে ফুটবলের প্রতি একটা টান লক্ষ্য করেছি। তার সেই প্রতিভা বিকশিত করতে চাই। সে কঠোর পরিশ্রম করে। আমার বিশ্বাস, যেভাবে নারী ফুটবলারদের অগ্রযাত্রা। সেই অগ্রযাত্রায় একদিন শামিল হবে মোহনা।’

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ