হোম > ছাপা সংস্করণ

কিশোর-কিশোরী ক্লাবের নাশতার টাকা নয়ছয়

মনোহরদী (নরসিংদী) প্রতিনিধি

নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা রেহানা আক্তারের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে রয়েছে, তাঁর করা বিভিন্ন অনিয়মের প্রতিবাদ করলে মাঠ সুপারভাইজার হাবিবুর রহমানকে চট্টগ্রামে বদলি করা হয়। এ নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।

মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে উপজেলার একটি পৌরসভা ও ১২টি ইউনিয়নে একটি করে কিশোর-কিশোরী ক্লাব রয়েছে। প্রতিটি ক্লাবে কো-অর্ডিনেটর, জেন্ডার প্রমোটার, আবৃত্তি ও সংগীত শিক্ষক হিসেবে ২৮ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। প্রতিটি ক্লাবে ৩৫ জন সদস্য রয়েছে। এদের সপ্তাহে দুদিন ক্লাস নেওয়া হয়। এসব ক্লাবের নাশতা বাবদ জনপ্রতি ৩০ টাকা অর্থ বরাদ্দ দিয়েছে সরকার।

মাঠ সুপারভাইজার, খাদ্য সরবরাহকারীদের অভিযোগে, কিশোর-কিশোরী ক্লাবের শিক্ষার্থীদের নাশতার টাকা, ক্লাব ম্যানেজমেন্ট মিটিংয়ের (সিএমসি) প্রায় এক লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন রেহানা আক্তার। তা ছাড়া বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে অসহযোগিতা, কিশোর-কিশোরী ক্লাব বন্ধ করে দেওয়া এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে অসদাচরণ করেন তিনি। তাঁর এসব অনিয়মের ব্যাপারে গত বছরের জুলাই মাসে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানান নাশতা সরবরাহকারীরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সব প্রমোটার এবং ক্লাবের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিয়ে সভা করেন। সেখানে অনিয়মের বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় ওই কর্মকর্তাকে জনপ্রতি ২৫ টাকার নাশতা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়, কিন্তু এরপরও এসব অনিয়ম চলছে।

নাশতা সরবরাহের দায়িত্বে থাকা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের নাশতার জন্য ৩০ টাকা বরাদ্দ থাকলেও মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা আমাকে ১৫ টাকা দেন। বিভিন্ন কেন্দ্রে নাশতা পৌঁছাতে গাড়ি ভাড়া লাগে। ফলে কোনোভাবেই ৮ থেকে ১০ টাকার বেশি নাশতা দেওয়া সম্ভব হয় না।’

মাঠ সুপারভাইজার হাবিবুর রহমান বলেন, ‘প্রতিবছরে সিএমসির দুটি সভার জন্য সরকার ৯৪ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়। কিন্তু মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা কোনো সভা না করে পুরো টাকাই আত্মসাৎ করেছেন। তা ছাড়া গত বছরের বিভিন্ন মাসে ৩৪ দিন নাশতা সরবরাহ না করে ৪ লাখ ৬৩ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন তিনি। এসব বিষয়ে প্রতিবাদ জানালে আমাকে বদলি করা হয়। বিষয়টি গত সোমবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে জানিয়েছি।’

এ নিয়ে জানতে উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা রেহানা আক্তারের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হয়। ফোন না ধরায় তাঁর মন্তব্য জানা যায়নি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ এস এম কাসেম বলেন, ‘আমাকে কয়েকজন মৌখিকভাবে জানিয়েছেন। তাঁদের লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ

সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ প্রাণহানি

সেকশন