
সারী নদী বাঁচলে, বাঁচবে এর শাখা নদীগুলো। কিন্তু এই নদীর উৎসমুখ থেকে দেড় কিলোমিটার ভরাট হয়ে গেছে। ইতিমধ্যে শাখা নদী বড় নয়াগাঙ ও কাটাগাঙ সম্পূর্ণ পানিশূন্য হয়ে পড়েছে। আশপাশের বাসিন্দাদের শুষ্ক মৌসুমে অনেক কষ্ট করে সুপেয় পানি সংগ্রহ করতে হয়।
সারী নদীর উৎসমুখ থেকে খেয়াঘাট পর্যন্ত মামলা জটিলতার কারণে সরকার ইজারা দিতে পারেনি। এতে বালু উত্তোলন না হওয়ায় ভরাট হয়ে যাচ্ছে নদী। ইতিমধ্যে সারী নদীর উৎসমুখ ভরাট হয়ে শাখা নদী বড় নয়াগাঙ, কাটাগাঙ এবং পুটিখাল সম্পূর্ণ ভরাট হয়ে মরে গেছে। সারীর অন্যতম পুটিখালের অস্তিত্ব নেই।
নদী ভরাট হওয়ায় জৈন্তাপুর উপজেলার সারী নদী, বড়নয়াগাং নদী, কাটাগাং নদী এবং পুটিখালের তীরবর্তী বাসিন্দারা পানির জন্য হাহাকার করেন। সারীর উৎসমুখ বন্দ হওয়ায় শাখা নদীগুলোতে পানি না থাকায় নিজপাট ইউনিয়নের প্রায় সাতটি ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের গভীর-অগভীর নলকুল ও কুয়ার (ইন্দারা) পানির স্তর শুকিয়ে পড়ে পানিশূন্যতা দেখা দিয়েছে। নিজপাট ও চারিকাট ইউনিয়নের ১০টি ওয়ার্ডের জীব বৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়েছে।
সচেতন নাগরিক হারুন মিয়া, রহিম উদ্দিন, সেলিম আহমদ, শামিম আহমদ, সাব্বির আহমদ, শরিফ আহমদ, নজমুল ইসলাম, নূরুল ইসলামের দাবি, মামলাকারীদের অর্থনৈতিক প্রভাবের জন্য সারী নদী ও সারীর শাখা নদীগুলোকে হত্যা করা হয়েছে। কেউই সারী নদীর উৎসমুখ এবং বড়নয়াগাং, কাটাগাং, পুটিখাল এবং নিজপাট ও চারিকাটা ইউনিয়নের বাসিন্দাদের নিয়ে কথা বলছে না। মামলা জটিলতা দেখিয়ে সারীর উৎসমুখ থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার এলাকা বালু ভরাট হয়ে নদীর প্রকৃত সৌন্দর্য হারিয়ে গেছে। বালু উত্তোলন না হওয়ায় সারীর শাখা নদী বড় নয়াগাং এবং কাটাগাং পানিশূন্য হয়ে মরুভূমিতে পরিণত হয়েছে। পানির জন্য হাহাকার করছেন এলাকাবাসী। সরকার বঞ্চিত হচ্ছে রাজস্ব থেকে।
ইমরান আহমদ সরকারি মহিলা ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক খায়রুল ইসলাম বলেন, সরকার দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ না নিয়ে অচিরেই সারী নদী তার আপন রূপ সৌন্দর্য বিলীন হয়ে বাংলার মানচিত্র থেকে মুছে যাবে। জীব বৈচিত্র্য চিরতরে হারিয়ে যাবে। পানির স্তর নিচে চলে যাওয়ায় মরুভূমিতে পরিণত হবে নিজপাট ও চারিকাটা ইউনিয়নের অন্তত ১০টি ওয়ার্ড।