পাকুন্দিয়ায় উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে দুই স্কুলছাত্রীর বাল্যবিবাহ বন্ধ হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দুপুরে অভিযান চালিয়ে দুই কিশোরীর বিবাহ বন্ধ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রোজলিন শহীদ চৌধুরী।
জানা গেছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শুক্রবার দুপুরে বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত হন ইউএনও। এ সময় বর পক্ষের কাউকে সেখানে পাওয়া যায়নি। পরে বাল্যবিবাহের আয়োজন করায় কনের বাবাকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত মেয়েকে বিয়ে দেবেন না মর্মে মুচলেকা দেন কনের বাবা।
একই দিন বিকেলে উপজেলার অন্য একটি এলাকায় অভিযান চালিয়ে আরেক স্কুলছাত্রীর বাল্যবিবাহ বন্ধ করেন ইউএনও। এ সময় কনের বাবার কাছ থেকে মুচলেকা আদায় করা হয়। বাল্যবিবাহ বন্ধ করে দেওয়া দুই কিশোরী দশম শ্রেণিতে পড়ালেখা করছে। অভিযানে থানা পুলিশের সদস্যরা ইউএনওকে সহযোগিতা করেন।
ইউএনও রোজলিন শহীদ চৌধুরী একই দিনে দুটি বাল্যবিবাহ বন্ধ করে দেওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন।