কোটচাঁদপুর (ঝিনাইদহ) ও শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
টাকা নিয়েও নিয়োগ না দেওয়ার অভিযোগে নিয়োগবঞ্চিতদের অবরোধ ও হামলার শিকার হয়েছেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও এক শিক্ষক। গতকাল শুক্রবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার কুশনা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পাঁচ কর্মচারী পদে নিয়োগ পেতে ৭৭ জন আবেদন করেন। তবে গতকাল শুক্রবার পরীক্ষায় অংশ নেন ৪৩ জন। পরে ফলাফল ঘোষণার পর বিপত্তি সৃষ্টি হয়। বিদ্যালয়ের সভাপতি ও কৃষক লীগ নেতা আব্দুর রশিদ এবং শিক্ষক গোলাম কিবরিয়া বিপ্লবের ওপর হামলা চালান নিয়োগবঞ্চিতরা। তাঁদের অভিযোগ, চাকরি দেওয়ার কথা বলে তাঁদের কাছ থেকে অর্ধকোটি টাকা নেওয়া হয়েছে। তাঁরা সভাপতি ও শিক্ষককে ঘণ্টাব্যাপী অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে পুলিশের সহায়তায় তাঁরা বিদ্যালয়ের মাঠ ত্যাগ করেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের সভাপতি আব্দুর রশিদ বলেন, ‘নিয়োগ স্বচ্ছ হয়েছে। কারও কাছ থেকে কোনো টাকা নিইনি। যাঁরা নিয়োগ পাননি, তাঁরা আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন এবং হামলাও চালিয়েছেন।’
এদিকে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ছোনকা দ্বিমুখী উচ্চবিদ্যালয়ে নিয়োগ পরীক্ষার ঘোষণা দিয়ে লাপাত্তা হয়েছে নিয়োগ কমিটি। গতকাল বিকেল ৪টায় এই বিদ্যালয়ে চারটি পদে নিয়োগ পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। অধিকাংশ পরীক্ষার্থী উপস্থিত হলেও সন্ধ্যা পর্যন্ত দেখা মেলেনি নিয়োগ বোর্ডের কোনো সদস্যের। পরীক্ষার্থীরা ফিরে গেলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের স্বাক্ষরে অনিবার্য কারণবশত নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিতের নোটিশ ঝুলিয়ে দেন বিদ্যালয়ের নিরাপত্তাকর্মী।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির কয়েকজন সদস্য জানিয়েছেন, পরীক্ষার আগে টাকার বিনিময়ে প্রধান শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষক, পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর পদে নিয়োগদানের খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। এতে বিব্রত হয়ে নিয়োগ বোর্ডের সদস্য সরকারি কর্মকর্তারা এবং জনরোষ এড়াতে বিদ্যালয়ের সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পরীক্ষা নিতে আসেননি।
এ বিষয়ে জানতে সভাপতি ফেরদৌস জামান ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক খুরশিদী খুদাকে ফোন করা হলে তাঁরা সাড়া দেননি। অন্যদিকে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম অসুস্থতার কথা জানান।