কয়রা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের অফিস সহায়ক ‘টেন পারসেন্ট ওমর ফারুক’ এখন ছায়া কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। অভিযোগ উঠেছে, প্রকল্পের নগদ ‘টেন পারসেন্ট’ টাকা না দিলে প্রকল্পের চেক আটকে রাখেন তিনি।
জানা গেছে, ২০১১ সালে একটি প্রকল্পের মাধ্যমে কয়রা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসে যোগদান করেন তিনি। অফিসে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার সঙ্গে যোগসাজশে এগিয়ে যাচ্ছেন ফারুক। টিআর, কাবিখা ও কাবিটা প্রকল্প থেকে ‘টেন পারসেন্ট’ টাকা আদায় করছেন তিনি।
কয়রা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম বাহারুল ইসলাম বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসে ফারুকের মাধ্যমে টেন পারসেন্ট টাকা আদায় করা হয়। এ ব্যাপারে আমি উপজেলা পরিষদের সাধারণ সভায় এর প্রতিবাদ করি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের অফিস সহায়ক ওমর ফারুক ‘টেন পারসেন্ট’ টাকা আদায়ের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, স্যারের অধীনে চাকরি করি। স্যার যেভাবে বলে আমি সেভাবেই কাজ করি। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (অতিরিক্ত) ইমরুল কায়েস বলেন, এগুলো আগের ঘটনা। এ বিষয়ে আমি ভালো জানি না। আমি এই উপজেলায় এক মাস হলো অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছি। তবে আমি যত দিন আছি এ রকম ঘটনা ঘটতে দেওয়া হবে না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিমেষ বিশ্বাস বলেন, এ বিষয়ে তাঁকে আগেই সতর্ক করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।