পবিত্র রমজান মাস সওয়াব লাভের বসন্তকাল। এ মাস সওয়াব অর্জনের প্রতিযোগিতার মাস। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, বান্দার সওয়াব অর্জনের এ প্রতিযোগিতা মহান আল্লাহ দেখেন। (তাবারানি)
রোজাদারকে ইফতার করানো অত্যন্ত সওয়াবের কাজ। হাদিসে ইফতার করানোর অনেক ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো রোজাদারকে ইফতার করাবে, তার গুনাহ মাফ হয়ে যাবে, সে জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভ করবে, ওই রোজাদারের সওয়াবের সমপরিমাণ সওয়াব সে লাভ করবে। তবে ওই রোজাদারের সওয়াবে কোনো কম করা হবে না।’ সাহাবায়ে কেরাম এ কথা শুনে বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আমাদের অনেকেরই রোজাদারকে ইফতার করানোর সামর্থ্য নেই।’ রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘পানিমিশ্রিত এক কাপ দুধ বা একটি শুকনো খেজুর অথবা এক ঢোক পানি দিয়েও যদি কেউ কোনো রোজাদারকে ইফতার করায়, তাতেও আল্লাহ তাকে সেই পরিমাণ সওয়াব দান করবেন। আর যে ব্যক্তি কোনো রোজাদারকে তৃপ্তিসহকারে আহার করাবে, আল্লাহ তাআলা তাকে হাউজে কাউসার থেকে এমন পানীয় পান করাবেন, যার ফলে সে জান্নাতে প্রবেশ করার আগ পর্যন্ত তৃষ্ণার্ত হবে না।’ (মিশকাত)
অন্য হাদিসে এসেছে, নবীজি (সা.) এরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো রোজাদারকে ইফতার করাবে, সে ওই রোজাদারের সমপরিমাণ সওয়াব পাবে। এবং রোজাদারের সওয়াবও কমানো হবে না।’ (তিরমিজি)
অনেকে মনে করেন, ইফতার করালে দাওয়াতকারী ব্যক্তি রোজার পুরো সওয়াব পেয়ে যাবেন। এটি একটি ভুল ধারণা। উল্লিখিত উভয় হাদিসে এ ব্যাপারে বলা হয়েছে, দাওয়াতকারী ব্যক্তি রোজাদারের সমপরিমাণ সওয়াব পাবেন। এবং রোজাদারের সওয়াবও বিন্দু পরিমাণ কমানো হবে না। সুতরাং সামর্থ্য অনুযায়ী রোজাদারকে ইফতার করানোর মাধ্যমে সওয়াব অর্জনের চেষ্টা করা আমাদের সবার কর্তব্য।
লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক