Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

সাংসদের চাপে চেয়ারম্যান প্রার্থী এলাকাছাড়া

শরীয়তপুর প্রতিনিধি

সাংসদের চাপে চেয়ারম্যান প্রার্থী এলাকাছাড়া

শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী দ্বীন মোহাম্মদ মাদবর এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। দ্বীন মোহাম্মদের অভিযোগ, শরীয়তপুর-৩ আসনের সাংসদ নাহিম রাজ্জাক তাঁকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে চাপ দিচ্ছেন।

অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে গতকাল সাংসদ নাহিম রাজ্জাককে মোবাইলে ফোন করলেও তিনি ধরেননি। এ কারণে তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২৬ ডিসেম্বর ডামুড্যা উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে নির্বাচন হবে। এখানে আওয়ামী লীগ থেকে কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। ইসলামপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হোসেন মোল্লা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক দ্বীন মোহাম্মদ মাদবর ও মোসলেম আলী ঢালী।

নির্বাচনে সাংসদ নাহিম রাজ্জাক আবুল হোসেন মোল্লাকে সমর্থন দিয়েছেন। নির্বাচনের শুরু থেকেই দ্বীন মোহাম্মদ মাদবরকে নির্বাচন না করার অনুরোধ করেন সাংসদ। সাংসদের অনুরোধ উপেক্ষা করে মাঠে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছিলেন দ্বীন মোহাম্মদ মাদবর। বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ সাংসদ গত শনিবার দুপুরে দলবল নিয়ে হাজির হন দ্বীন মোহাম্মদের বাড়িতে। বাড়ির উঠানে সভায় বক্তব্যে দ্বীন মোহাম্মদকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে অনুরোধ করেন সাংসদ নাহিম রাজ্জাক। তখন দ্বীন মোহাম্মদের সমর্থকেরা সাংসদের এই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেন।

দ্বীন মোহাম্মদের বাড়িতে ওই সভার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে দ্বীন মোহাম্মদকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর অনুরোধ করে সাংসদকে বলতে শোনা যায়: ‘এর আগে দ্বীন মোহাম্মদকে চেয়ারম্যান বানিয়েছি, সাধারণ সম্পাদক বানানো হয়েছে। এখনো তাকে ভালো একটা জায়গায় বসানোর দায়িত্ব আমাদের। নির্বাচন বড় না আমি বড়? আমার ওপর আস্থা আছে?’ এ সময় উপস্থিত লোকজন একযোগে ‘মানি না’ বলে প্রতিবাদ করেন।

দ্বীন মোহাম্মদ মাদবর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি, আমরা সবাই আওয়ামী পরিবারের লোক। অথচ সাংসদ প্রকাশ্যে আমার প্রতিপক্ষ আবুল মোল্লার পক্ষে প্রচারণায় নেমেছেন। আমাকে নির্বাচন থেকে সরে যেতে চাপ দিচ্ছেন। এমপি আমাকে নির্বাচন থেকে দূরে সরে যাওয়ার কথা বলার পর থেকে সন্ত্রাসীরা আমাকে এলাকায় যেতে দিচ্ছে না। আমাকে ও আমার সমর্থকদের নিয়মিত হুমকি দিচ্ছে। আমি ডামুড্যা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছি এবং জেলা ডিবি কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। রিটার্নিং কর্মকর্তাকেও জানিয়েছি।’

জানতে চাইলে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ডামুড্যা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শেখ আজিজুর রহমান বলেন, সাংসদ নির্বাচনী এলাকায় গিয়ে প্রচার-প্রচারণা বা কাউকে চাপ দেওয়ার বিষয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে লোকমুখে শুনেছি, তিনি এলাকায় এসেছিলেন। শুনে তো আর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না।

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ