Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

খামারের বিষাক্ত বর্জ্য শিকলবাহা খালে

মো. ইমরান হোসাইন, কর্ণফুলী (চট্টগ্রাম)

খামারের বিষাক্ত বর্জ্য শিকলবাহা খালে

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহা খালের দুই পাশে গড়ে উঠেছে ৩০ থেকে ৩৫টির বেশি গরুর খামার। এসব খামারের বিষাক্ত বর্জ্যে দূষিত হচ্ছে শিকলবাহা খালের পানি। খালের দূষিত পানি ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। প্রতিদিন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ পথচারীদের নাকে কাপড় দিয়ে হেঁটে যেতে হয়। এতে দূষিত হচ্ছে এলাকার পরিবেশও। ফলে এসব খামারিদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।

গতকাল শনিবার বিকেলে সরেজমিনে এবং স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহা মাজার গেট এলাকা থেকে শুরু হয়ে আলী হোসেন মার্কেট পর্যন্ত কয়েক কিলোমিটার এলাকার খালের দুই পাশে গড়ে উঠেছে ৩০-৩৫ টির বেশি গরুর খামার। খালের দুই পাশে অবৈধভাবে খাল ভরাট করে গড়ে উঠেছে স্থাপনা। বর্জ্যে ও ময়লায় খাল ভরাট হয়ে যাওয়ায় জোয়ারের পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে বহু আগে। ফলে চাষাবাদ করতে পারছেন না কয়েক শতাধিক কৃষক। বর্তমানে খাল দখল কারণে তাতে আটকে থাকায় বর্জ্যে দূষিত হয়ে কালো পানিতে এলাকায় দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।

এদিকে চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে জেলা প্রশাসক নির্দেশ দিয়েছেন। সেই নির্দেশনার আলোকে গত ২০ জুন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এলএ) মাসুদ কামালের সভাপতিত্বে বৈঠক হয়। সেখানে আলোচনায় উঠে আসে উপজেলার ২৫ হাজার গরুর খামারের কথা। এর ব্যবস্থাপনার জন্য উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের ৫টি মিনি প্ল্যান্ট স্থাপনের প্রস্তাবও আলোচনা আসে।

স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ, খামারিদের পশুর বর্জ্যে ভরাট হয়ে গেছে খালটি। কৃষকেরা আগে তাঁদের চাষাবাদে খালের পানি ব্যবহার করতেন। এখন সেটি সম্ভব হয় না। তাঁদের দাবি, পশুর বর্জ্যে দূষিত হয়ে খাল-বিল ও জলাশয়কে বিষের খনিতে পরিণত করেছে। এতে চরলক্ষ্যা ও শিকলবাহা ইউনিয়নের কৃষকেরা বৃষ্টির পানির ওপর নির্ভর করেই চাষাবাদ করতে হয়।

উপজেলা প্রাণী সম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম জেলায় সর্বাধিক পশু খামার রয়েছে কর্ণফুলী উপজেলায়। উপজেলায় ১ হাজার ২০০ খামার গড়ে উঠেছে।

চরলক্ষ্যা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোলাইমান তালুকদার বলেন, কিছুদিন আগে খালটি পানি চলাচলের জন্য খনন করা হয়। কিন্তু কিছু অসাধু গরুর খামারি পশুর বর্জ্য ও ময়লা আবর্জনা ফেলে খালটির পানি নষ্ট করে ফেলছেন। এ বিষয়ে খামারিদের ডাকা হবে এবং উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ভারপ্রাপ্ত পিযুষ কুমার চৌধুরী বলেন, ‘বিষয়টি সরেজমিনে দেখে যারা খাল নষ্ট করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। আগামী মিটিংয়ে খামারিদের ব্যবস্থাপনার জন্য মিনি প্ল্যান্ট স্থাপন নিয়ে আলোচনা করা হবে।’

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ