হোম > ছাপা সংস্করণ

সড়কের কাজ সম্পন্ন না করেই লাপাত্তা ঠিকাদার

কুমারখালী (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে নতুন করে সেতু নির্মাণের জন্য পুরোনো সেতুসহ সড়ক কেটে রেখেছেন ঠিকাদার। চলাচলের জন্য পাশ দিয়ে নামমাত্র বিকল্প রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। সেই পথে স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। উপজেলা প্রকৌশলী জানিয়েছেন, প্রকল্পের মেয়াদ অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে।

যোগাযোগ করেও প্রকল্প সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানা সম্ভব হয়নি। তবে একাধিক সূত্রে জানা গেছে, একই সঙ্গে শুরু হওয়া এই সড়কের একাধিক প্রকল্পের কাজ ২০২০ সালে শেষ হয়। নির্ধারিত সময়ে এই প্রকল্পের কাজ শেষ না করলেও করোনার সময় এর মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়েও যোগাযোগ করেননি ঠিকাদার।

জানা গেছে, উপজেলার পান্টি, চাঁদপুর ও বাগুলাট ইউনিয়নের প্রায় ১ লাখ মানুষ এ রাস্তায় চলাচল করে। এ ছাড়া পাশের ঝিনাইদহের শৈলকুপা ও মাগুরার মানুষেরও কুষ্টিয়া শহরে যাতায়াত এ সড়কে। সড়কের চাঁদপুর ইউনিয়নের মহননগর পূর্বপাড়ায় তিনরাস্তা মোড় এলাকায় প্রায় ছয় মাস এই সড়ক কাটা হয়েছে। সেখানে দুর্ঘটনা প্রতিরোধক ব্যবস্থা নেই। নেই কোনো সতর্কীকরণ সাইনবোর্ড।

মহননগর সেতু এলাকায় সরেজমিন দেখা যায়, যানবাহন থেকে যাত্রীরা নেমে হেঁটে পার হচ্ছে। আর যানবাহনগুলো যাত্রী ও এলাকাবাসী ঠেলে দিয়ে তুলে দিচ্ছে।

উপজেলা প্রকৌশল কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১৮ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতুটির নির্মাণকাজের ঠিকাদার জেলার মিরপুরের রিপন আলী। নির্মাণকাজের মেয়াদ অনেক আগেই শেষ হয়েছে। দৃশ্যমান কাজ না থাকায় বাতিলের জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে; কিন্তু ঠিকাদার প্রকৌশলীকে না জানিয়ে সড়ক কেটে পালিয়েছেন।

এ বিষয়ে স্থানীয় কৃষক তরুণ বিশ্বাস বলেন, ‘ভালো সেতুর রাস্তা কেটে চলে গেছেন ঠিকাদার। ছয় মাসেও নির্মাণকাজ ও ঠিকাদারের দেখা মেলেনি। জনগণের কষ্টের শেষ নেই। হয় নতুন সেতু বানাক (নির্মাণ), না হয় আমাদের রাস্তা ভালো করে দিক।’

সেতুটির পাশের মুদিদোকানি সজল বিশ্বাস বলেন, প্রতিদিনই গাড়ি উল্টে দুর্ঘটনা হচ্ছে। দোকান ফেলে বারবার ছুটে যেতে হয় গাড়ি ঠেলতে। মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। দ্রুত সমস্যার সমাধান হওয়া দরকার।

বাগুলাট ইউনিয়নের আদাবাড়িয়া গ্রামের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী রিপন আলী বলেন, মালবোঝাই গাড়ি নিয়ে এই সড়কে চলা যায় না। দুর্ঘটনা প্রতিরোধক ব্যবস্থা নেই। রাতের আঁধারে মানুষ গাড়ি নিয়ে গর্তে পড়ে যায়। ৭-৮ মাস ধরে এ দুর্ভোগ চলছে।

এ বিষয়ে জানতে ঠিকাদার রিপন আলীকে মোবাইলে ফোন দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক ঠিকাদার জানান, রিপন তাঁর শ্রমিকদের দিয়ে সেতুর রাস্তা ভাঙার কাজ করেছিলেন; কিন্তু এ কাজ কবে শেষ করবেন, তা তিনি জানেন না।

চাঁদপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রাশেদুজ্জামান তুষার বলেন, ‘সেতুর কাজের খোঁজ নেই, রাস্তা কেটে উধাও ঠিকাদার। জনগণের কষ্টের কোনো শেষ নেই। দ্রুত সমাধানে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’

উপজেলা প্রকৌশলী মো. আব্দুর রহিম বলেন, ‘কাজের মেয়াদ শেষ হয়েছে অনেক আগেই। তাই এই প্রকল্পের কাজ বাতিলের জন্য ঠিকাদারকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ঠিকাদার গোপনে সড়ক কেটে রেখে পালিয়েছেন। বিষয়টি ইউএনও এবং স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে বলা হয়েছে।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিতান কুমার মণ্ডল বলেন, কাটা সড়ক সংস্কার করে জনগণের চলাচল স্বাভাবিক করতে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ

সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ প্রাণহানি

সেকশন