Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

সব ধকল শেষে এবার লোকসানের আশঙ্কা

বাগাতিপাড়া (নাটোর) প্রতিনিধি

সব ধকল শেষে এবার লোকসানের আশঙ্কা

নাটোরের বাগাতিপাড়ায় পাট নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকেরা। পাটের দাম কম, জাগ দেওয়ার পানির অভাব, শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধি, শ্রমিকসংকটসহ নানা কারণে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন উপজেলার কৃষকেরা।

উপজেলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, গত কয়েক বছর লাভবান হওয়ায় পাটের আবাদে ঝুঁকেছেন কৃষকেরা। চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৪ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে পাটের চাষ হয়েছে। যা গত বছর থেকে প্রায় ১ হাজার ১০০ হেক্টর বেশি।

স্থানীয় কৃষকেরা জানান, উপজেলায় বর্ষা মৌসুমে পর্যাপ্ত পানি না হওয়ায় খালবিলে পানির অভাবে পাট জাগ দিতে বিপাকে পড়েন চাষিরা। এ বছর পাটে বিঘাপ্রতি খরচ হয়েছে ২২-২৪ হাজার টাকা। ফলন হচ্ছে ৭-৮ মণ। বিক্রি হচ্ছে ২০ হাজার থেকে ২২ হাজার টাকায়। চাষিদের বিঘাপ্রতি লোকসান গুনতে হচ্ছে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা। আর যাঁরা জমি লিজ নিয়ে পাট চাষ করেছেন, তাঁদের বিঘাপ্রতি প্রায় ৭-৮ হাজার টাকা লোকসান হচ্ছে। এই লোকসান নিয়েই উপজেলার মাঠে মাঠে পাট কাটা, জাগ দেওয়া, আঁশ ছাড়ানো এবং শুকানোর মধ্যে দিয়ে সময় পার করছেন তাঁরা। বাজারে মানভেদে প্রতি মণ পাট বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৩০০ থেকে ২ হাজার ৯০০ টাকায়।

উপজেলার দেবনগর গ্রামের পাটচাষি মিজানুর রহমান বলেন, এক বিঘা জমি বীজ বপনের উপযোগী করতে তিনবার চাষে ১  হাজার ২০০ টাকা, দুইবার সেচে ১ হাজার ৮০০, বীজ-সার ও কীটনাশক বাবদ ২ হাজার, নিড়ানি ৩ হাজার, কাটা ও জাগ দিতে ৭ হাজার, জাগ দিতে পুকুরভাড়া দেড় হাজার, আঁশ ছাড়ানো ৪ হাজার, পরিবহন খরচ ২ হাজার, অন্যান্য খরচ দেড় হাজার টাকাসহ মোট ২৪ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।

এ বছর পাটে বিঘাপ্রতি খরচ হয়েছে ২২-২৪ হাজার টাকা। ফলন হচ্ছে ৭-৮ মণ। বিক্রি হচ্ছে ২০ হাজার থেকে ২২ হাজার টাকায়। চাষিদের বিঘাপ্রতি লোকসান গুনতে হচ্ছে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা। 

ক্ষিদ্রমালঞ্চি গ্রামের আলমগীর হোসেন বলেন, পানির অভাবে পাট জাগ দেওয়ার জন্য জমির আইল উঁচু করে বেঁধে পলিথিন বিছিয়ে সেখানে সেচ দিয়ে পাট জাগ দিয়েছেন। আঁশ ছাড়ানো পর্যন্ত কয়েক বার সেচ দিতে হয়েছে। এভাবে অনেকে পাট জাগ দিয়েছেন। শ্রমিকের মজুরিও বেড়েছে। সব মিলিয়ে অনেক টাকা লোকসান হয়েছে।

কাঁকফো গ্রামের রুহুল আমিন বলেন, সাড়ে চার বিঘা জমির পাট জাগ দেওয়ার জন্য তিনি পুকুরভাড়া দিয়েছেন ৯ হাজার টাকা। এ বছর পাটে খরচ করেও আশানুরূপ ফলন হয়নি। ফলে অনেক টাকা লোকসানের শিকার হয়েছেন তিনি।

বিলগোপালহাটি গ্রামের দিনমজুর আত্তাব আলী বলেন, লাভের আশায় দুই বিঘা জমি লিজ নিয়ে পাট চাষ করেছিলেন। বিনিময়ে শুকনো পাঁচ মণ পাট দিতে হয়েছে। পাটের ফলন ও দাম কম হওয়ায় এখন ঋণের টাকা কীভাবে পরিশোধ করবেন, আবার পরিবার নিয়ে সারা বছর কীভাবে চলবেন ভাবতে গিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ছেন।

স্থানীয় পাট ব্যবসায়ী আলমাস আলী বলেন, এ বছর এই এলাকায় উৎপাদিত পাটের মান ভালো হয়নি। সে জন্য মিলে চাহিদা কম থাকায় দাম কম। প্রতি মণ পাট মানভেদে প্রায় ২ হাজার ৩০০ থেকে ২ হাজার ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

কৃষি কর্মকর্তা মোমরেজ আলী বলেন, এ বছর বৃষ্টি না থাকায় পাট উৎপাদনে খরচ একটু বেশি হয়েছে। পানির অভাবে যত্রতত্র পাট জাগ দেওয়ায় গুণগত মান
ঠিক হচ্ছে না। এ ছাড়া পাটের রং ভালো হওয়ায় কৃষকেরা ভালো দাম পাচ্ছেন।

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ