আর কয়েক দিনের অপেক্ষা। আগামী ২৭ জুন শুরু হচ্ছে বছরের তৃতীয় গ্র্যান্ড স্লাম উইম্বলডন। ঘাসের কোর্টে সাদা পোশাকে শিরোপা জিততে লড়বেন টেনিস তারকারা। এরই মধ্যে প্রস্তুতি শুরু করেছেন রাফায়েল নাদাল-নোভাক জোকোভিচদের মতো তারকারা। তবে এবারের উইম্বলডন আসছে বেশ কিছু পরিবর্তন নিয়ে।
নিষিদ্ধ রাশিয়া ও বেলারুশ
মার্চ থেকেই টেনিস র্যাঙ্কিংয়ের তালিকায় একটি পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছিল। দানিল মেদভেদেভ ও আরিয়ানা সাবালেঙ্কার নামের পাশে তাঁদের দেশ রাশিয়া ও বেলারুশের পতাকার ছবি দেখা যাচ্ছিল না। মূলত ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর থেকেই নিজ দেশের পতাকা নিয়ে খেলার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞায় পড়েন এ দুজন। তবে উইম্বলডনের ড্রয়ে এসে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে। শুধু দেশের পতাকা নিয়ে খেলাই নয়, রাশিয়ান ও বেলারুশিয়ানদের ওপর সরাসরি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে উইম্বলডন কর্তৃপক্ষ। অল ইংল্যান্ড ক্লাবের নেওয়া এই পদক্ষেপ সমালোচিত হতেও সময় লাগেনি। খোদ নোভাক জোকোভিচও খেলোয়াড়দের নিষিদ্ধ করার বিপক্ষে মত দেন।
নামের পাশে কোনো পয়েন্ট নয়
রাশিয়ান এবং বেলারুশিয়ান খেলোয়াড়দের অনুপস্থিতির জেরে আরও কিছু বিষয় অনুপস্থিত থাকছে উইম্বলডনে। অল ইংল্যান্ড ক্লাবের এই সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় এটিপি ও ডব্লিউটিএ এ বছর র্যাঙ্কিং পয়েন্ট যোগ করা থেকে বিরত থাকছে। এমনকি জুনিয়র এবং হুইলচেয়ারই ইভেন্টেও কোনো পয়েন্ট যোগ করা হবে না।
পয়েন্ট না পাওয়ায় খেলোয়াড়দের র্যাঙ্কিংয়েও এর বিরূপ প্রভাব পড়বে।
বিশেষ তোয়ালে
উইম্বলডনের নিজস্ব দোকানে সবচেয় বেশি বিক্রি হয় উইম্বলডন-তোয়ালে। প্রতিবার নতুন নকশায় তৈরি হয় তোয়ালে। এবারের উইম্বলডন আনছে বিশেষ তোয়ালে। এটি আকারে বড় এবং আকর্ষণীয় হবে। এই তোয়ালেতে মূলত ১০০ বছর পুরোনো মূল স্থাপত্যের নকশাকেই ব্যবহার করা হয়েছে।
থাকছে না ‘মিডল সানডে’
প্রথমবারের মতো উইম্বলডনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত টানা ১৪ দিন খেলার পরিকল্পনা করা হয়েছে। আগে প্রথম ও দ্বিতীয় সপ্তাহ মাঝের রোববারে (মিডল সানডে হিসেবে পরিচিত) খেলা বন্ধ থাকত। শুধু আবহাওয়ার কারণে ম্যাচ না হলেই সেদিন খেলা হতো। টুর্নামেন্টের ইতিহাসে কেবল চারবার বিশ্রামের দিনে ম্যাচ আয়োজন করতে হয়েছিল। এটি সর্বশেষ দেখা গেছে ২০১৬ সালে। এবার মিডল সানডের মতো থাকছে না ‘ম্যানিক মানডে’ও। মূলত রোববারের বিরতিতে চতুর্থ রাউন্ডের ১৬টি ম্যাচের সবগুলো সোমবার টানা হতো। এবার দুই দিনেই ম্যাচ ভাগ করে হবে।