এএফপি, কিয়েভ
দেয়ালে আঁকা বিড়ালের বড় একটি ছবি। সেই দেয়ালজুড়ে রয়েছে ছোট ছোট মাছ আর ফুল। ছোট্ট সোনামণিদের খেলার ছোট্ট তাঁবুও সেখানে। সেই কক্ষের মেঝেতে শুয়ে আপনমনে খেলা করছে শিশুরা। তাদের গল্প শোনাচ্ছেন এক নারী। সেই গল্প শুনে হেসে গড়াগড়ি খাচ্ছে একেকজন। কেউবা নিজেরা নিজেরা গল্প করছে। কারও চোখে নেই ভয়ের কোনো ছাপ।
যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের কিয়েভের একটি কিন্ডারগার্টেনে দেখা গেছে এমন চিত্র। ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের এক বছরের বেশি সময় পেরিয়েছে। যুদ্ধের কারণে শিশুদের ওপর পড়া মানসিক প্রভাব কাটাতে সম্প্রতি কিয়েভের এই কিন্ডারগার্টেনেই শুরু হয় এদের দেখাশোনা করা। এসব শিশু এক বছরের বেশি সময় ধরে যুদ্ধের সাইরেন শুনে অভ্যস্ত। শিশুদের দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা ৬৮ বছর বয়সী টেটিআনা বলেন, ‘এরা খুবই শান্তশিষ্ট, কোনো উচ্চবাচ্য করে না। এমনকি এদের কান্না করতেও দেখিনি।’
এএফপির প্রতিবেদক সেখানে দাঁড়িয়ে এমনটিই দেখেছেন। বাচ্চারা হাসতে হাসতে একে অন্যের সঙ্গে গল্প করছে, কর্মীদের গল্প শুনছে, লোগো বানাচ্ছে কিংবা একজন আরেকজনের মুখে রং দিয়ে ছবি আঁকছে। কী করছ, জিজ্ঞেস করায় প্লাটুন নামের এক ছেলে বলে, ‘আমরা বোমা থেকে পালিয়ে আছি।’
‘আমাদের যখন মনে হয় বোমা হামলা হবে, তখন আমরা সবাই মিলে এ ঘরে এসে বসে থাকি’—এভাবেই নিজেদের পরিস্থিতির কথা জানায় নাদিয়া। শুধু গল্প বলা নয়, এদের দেখানো হয় বিশেষ ভিডিও।
কিন্ডারগার্টেনের পরিচালক আলা পিসমেনচুক বলেন, ইউক্রেনের উত্তরাঞ্চলের অনেক প্রান্তিক এলাকা থেকে আনা শিশুও রয়েছে এখানে। এদের পরিবারের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ নেই।