চুয়াডাঙ্গায় পরিবেশ অধিদপ্তরের অনাপত্তি সনদ ছাড়াই চলছে ২টি ইটভাটা। ইটভাটা ২টি হলো সদর উপজেলার গড়াইটুপি ইউনিয়নের সড়াবাড়িয়া গ্রামের সুপার ব্রিকস ও গহেরপুর গ্রামের সিলিন্দি পাড়ার জেবিএম ব্রিকস। ভাটা দুটিতে কয়লার পরিবর্তে কাঠ ও বাঁশ পোড়ানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, আন্দুলবাড়িয়া-খাড়াগোদা সড়কের পশ্চিম পাশে গড়ে উঠেছে সুপার ব্রিকস এবং গহেরপুরে সিলিন্দি পাড়া মাঠে আবাদি জমির মাঝখানে গড়ে উঠেছে জেবিএম ব্রিকস। কয়লা পোড়ানোর কথা থাকলেও ভাটা দুটির কোথায়ও কয়লার মজুত দেখা যায়নি। ভাটার চারদিকে কাঠ স্তূপ করে রাখা হয়েছে।
দুটি ইটভাটার কয়েকজন শ্রমিকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ইটভাটা দুটিতে জ্বালানি হিসেবে কাঠ পোড়ানো হয়। প্রতি মৌসুমে ভাটা দুটিতে প্রায় ৫০০ হাজার মণ কাঠ পোড়ানো হয়।
নাম না প্রকাশের শর্তে ভাটা দুটির আশপাশে বসবাস করা লোকজন বলেন, ইটভাটার কালো ধোঁয়া ও ধুলা-বালুতে বাড়িঘরে থাকা দায়। সেই সঙ্গে নষ্ট হচ্ছে বিপুল পরিমাণ জমির আবাদি ফসল। ভাটার মালিকেরা প্রভাশালী হওয়ায় এলাকার লোকজন প্রতিবাদ করার সাহস পান না।’
সুপার ব্রিকস ইটভাটার মালিক আব্দুল ওয়াহেদ বলছেন, ‘পরিবেশসম্মত ইটভাটা তৈরি করতে প্রায় ২০ লাখ ইটের প্রয়োজন। একসঙ্গে এত ইট কিনে ইটভাটা করা কঠিন। তাই সবাইকে ম্যানেজ করেই ইটভাটা চালানো হচ্ছে।’
একই দাবি করে জেবিএম ব্রিকসের মালিক আবু জাফর বলেন, ‘এবার কয়লার দাম অনেক বেশি। এ জন্য কাঠ পোড়ানো হচ্ছে। ইটভাটা স্থাপনে অনাপত্তি সনদের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের আবেদন করা হয়েছে।’ শিগগিরই অনাপত্তি সনদ পেয়ে যাবেন বলে তিনি জানান।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীম ভূঁইয়া বলেন, ‘এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে দেখব। অভিযোগ প্রমাণিত হলে দুটি ইটভাটাই বন্ধ করে দেওয়া হবে।’