নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় প্রেমিকের বাড়িতে গিয়ে নিজের শরীরে আগুন লাগিয়ে দিয়েছেন এক নারী (২৫)। এতে তাঁর শরীরের অন্তত ৩০ ভাগ পুড়ে গেছে জানিয়েছেন চিকিৎসক। গতকাল বৃহস্পতিবার উপজেলার সান্দিকোনা ইউনিয়নের আটিগ্রামে এ ঘটনা ঘটে। উন্নত চিকিৎসার ওই নারী এখন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এর আগে একটি গ্রামে ওই নারীর বিয়ে হলেও পারিবারিক অশান্তির কারণে তা টেকেনি বেশি দিন। বিবাহ বিচ্ছেদের পর চট্টগ্রামের একটি পোশাক কারখানায় কাজ শুরু করেন তিনি। এর আগেই এক বিবাহিত যুবকের সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বৃহস্পতিবার সকালে তিনি ওই যুবকের বাড়িতে যান। একপর্যায়ে সেখানে নিজের শরীরে কেরোসিন ঢেলে দেশলাই দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন। এতে তাঁর মুখমণ্ডল, দুই হাত ও পেটসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়ে যায়।
সেখান থেকে তাঁকে উদ্ধার করে কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে পাঠান। খবর পেয়ে কেন্দুয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) জোনাইল আফ্রাদ ও কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহনেওয়াজ হাসপাতালে আসেন। এ ছাড়া নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) এ কে এম মনিরুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. সৈয়দ মো. আবদুল্লাহ গালিব জোবায়ের জানান, আগুনে ওই নারীর শরীরের বিভিন্ন অংশের ৩০ ভাগেরও বেশি পুড়ে গেছে। মুখের ভেতরেও ক্ষত দেখা গেছে। তাই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে মমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কেন্দুয়া থানার ওসি কাজী শাহনেওয়াজ বলেন, ‘এ ঘটনায় এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’