ঢাকার দোহারের পদ্মাতীরবর্তী কুতুবপুর ও বিলাশপুর ঘাট এলাকায় ভাঙনে প্রায় অর্ধশত বাড়িঘর ও আবাদি জমি বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের আতঙ্কে সড়কে রাত কাটাচ্ছেন নদীতীরবর্তী ওই এলাকার মানুষ। গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার থেকে উপজেলার বিলাশপুর ইউনিয়নে এই ভাঙন দেখা দেয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার বিলাশপুর ঘাট ও কুতুবপুর গ্রামে পদ্মাতীরবর্তী এলাকায় গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুরু হওয়া ভাঙনে আবাদি জমিসহ প্রায় অর্ধশত বাড়িঘর নদীতে বিলীন হয়েছে। এর মধ্যে অনেকের বসতঘর, বড় গাছ, ফসলসহ জমিও রয়েছে।
কুতুবপুর গ্রামের পঞ্চাশোর্ধ্ব মিরাজ শেখ, মানিক মিয়া, আব্দুস সালাম, হযরত আলী, দবির মিয়াসহ কয়েকজন বলেন, বর্ষার পানি আসার পরই থেমে থেমে এলাকা ভাঙছে। এর আগে পার্শ্ববর্তী মধুরচর এলাকায় প্রায় দেড় কিলোমিটার এলাকায় আবাদি জমি ও শতাধিক কাঁচা বাড়িঘর ভাঙনের শিকার হয়েছে।
বিলাশপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রাশেদ চোকদার বলেন, ‘গ্রামবাসীকে নিয়ে নদীতীরবর্তী প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকায় বাঁশ দিয়ে বাঁধ নির্মাণ করেছি, এর
পুরোটাই নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। কুতুবপুর গ্রামে নদীভাঙন ভয়াবহ আকারে দেখা দিয়েছে। আমরা স্বেচ্ছাশ্রমে ভাঙনকবলিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোবাশের আলম বলেন, ‘স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের কাছ থেকে জানতে পেরে ইতিমধ্যে ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছি।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই স্থানের বাসিন্দাদের খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। ওই এলাকার প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণ ও সহযোগিতা করা হবে।’
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আলমগীর হোসেন জানান, ‘বিষয়টি স্থানীয় সংসদ সদস্য সালমান এফ রহমানকে জানানো হয়েছে। শিগগিরই সেনাবাহিনীর মাধ্যমে
জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধ করা হবে। সারা দেশের ৫৪টি ভাঙনপ্রবণ এলাকার মধ্যে দোহারের পদ্মা রক্ষা বাঁধ চূড়ান্ত হয়েছে। সালমান এফ রহমান ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করে স্থায়ী সমাধান করবেন।’