Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

খেলার মাঠে একাডেমিক ভবন নির্মাণের চেষ্টা

ডুমুরিয়া প্রতিনিধি

খেলার মাঠে একাডেমিক ভবন নির্মাণের চেষ্টা

ডুমুরিয়া উপজেলার মাগুরাঘোনা ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নতুন একাডেমিক ভবন নির্ধারিত স্থানে নির্মাণ না করে বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার সকাল থেকে এ নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে।

মাটি পরীক্ষিত নির্ধারিত স্থানে ভবন নির্মাণ না করে অন্য স্থানে স্কুলের একাডেমিক ভবন নির্মাণ শুরু করায় ভবনের স্থায়িত্ব নিয়ে জনমনে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের অর্থায়নে ৮৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকা বরাদ্দে চার তলার ভিত দিয়ে ১ তলা বিশিষ্ট একাডেমিক ভবন নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া হয়। যা পর্যায়ক্রমে চার তলা পর্যন্ত নির্মাণ করা হবে।

নির্মাণকাজ শুরু করতে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করে। সে মোতাবেক ভবন নির্মাণের কার্যাদেশ পেয়ে নির্মাণকাজ শুরু করেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স মুন্না এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকার শফিকুল ইসলাম।

স্থানীয়দের অভিযোগ, বিদ্যালয় চত্বরের উত্তর প্রান্তে ভবন নির্মাণের জন্য মাটি পরীক্ষা করে খুলনা মাধ্যমিক শিক্ষা প্রকৌশল দপ্তর। কিন্তু মাটি পরীক্ষিত স্থানে ভবন নির্মাণ না করে প্রায় ৩০০ ফুট দূরে বিদ্যালয় মাঠের পূর্ব দক্ষিণ প্রান্তে ভবন নির্মাণের জন্য পাইলিংয়ের কাজ শুরু করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এতে শিক্ষার্থীদের খেলার মাঠটি সংকীর্ণ হয়ে যাবে। ফলে ছেলেমেয়েরা খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত হবে।

বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সাবেক অভিভাবক সদস্য শেখ আশরাফ হোসেন, সদস্য আব্দুস সবুর টিআর, সদস্য আবদুল লতিফ বিশ্বাস, রবীন্দ্রনাথ রায়ের অভিযোগ, কিছুদিন আগে বিদ্যালয়ের পুরোনো আধা পাকা ৫টি শ্রেণিকক্ষ ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এরপর গত বছরের নভেম্বর মাসে কমিটির সাধারণ সভায় এসব ঝুঁকিপূর্ণ শ্রেণিকক্ষগুলো পরিত্যক্ত ঘোষণা ও অপসারণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

কমিটির সদস্যসচিব ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রভাত কুমার বৈদ্য জানান, বিদ্যালয় চত্বরের উত্তর প্রান্তে আধা পাকা ৫টি শ্রেণিকক্ষ রয়েছে। কিন্তু কক্ষগুলো দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় জরাজীর্ণ ও বেহাল হয়ে পড়ে। এসব কক্ষ অপসারণ করে সেখানে নতুন করে একাডেমিক ভবন নির্মাণের জন্য একাধিকবার উপজেলা প্রশাসন দপ্তরে আবেদন করেন তিনি। কিন্তু তাতে কোনো কাজ হয়নি। এখন পরীক্ষিত জায়গা বাদ রেখে দক্ষিণ পূর্ব প্রান্তে খেলার মাঠে ভবন নির্মাণের পাইলিংয়ের কাজ শুরু হয়েছে।

এ বিষয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রকৌশল দপ্তর খুলনার সহকারী প্রকৌশলী গৌতম কুমার মজুমদার বলেন, ‘পরীক্ষিত স্থান পরিবর্তন করার কোনো নিয়ম নেই। সরেজমিনে বিষয়টি পরিদর্শনের পর যথাযথ স্থানে ভবন নির্মাণের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ