নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের সবচেয়ে বেশি সংক্রমিত হয় যে ধরনে, সেই লিনিয়েজ (বিএ.২) শনাক্ত হয়েছে চট্টগ্রামে। বর্তমানে এ ধরনটি ভারতে বেশি সংক্রমণ ঘটাচ্ছে। তবে এটি তেমন বিপজ্জনক নয় বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। আক্রান্ত ব্যক্তিদের শরীরে মৃদু উপসর্গ দেখা দেয়। এতে আক্রান্তদের বেশির ভাগকেই হাসপাতালে ভর্তি হতে হচ্ছে না। মৃত্যুর তথ্যও মেলেনি।
চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) গবেষকদের গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। সিভাসুর উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশের নেতৃত্বে গবেষণায় অংশ নেন প্রফেসর ড. পরিতোষ কুমার বিশ্বাস, প্রফেসর ড. শারমিন চৌধুরী, সহকারী অধ্যাপক ডা. ইফতেখার আহমেদ রানা, ডা. প্রাণেশ দত্ত, ডা. মো. সিরাজুল ইসলাম, ডা. তানভীর আহমদ নিজামী।
গবেষকেরা চট্টগ্রামের ১০টি নমুনা পরীক্ষার জিনোম সিকুয়েন্স করে। এতে সব কটি নমুনায় ওমিক্রনের ধরন (বি ১.১৫২৯) উপস্থিতি রয়েছে। এর মধ্যে চারটির নমুনায় ওমিক্রন ধরনের অধিকতর সংক্রামক ভ্যারিয়েন্ট লিনিয়েজ (বিএ.২) উপস্থিতি পেয়েছেন তাঁরা। চট্টগ্রামের ৬৮টি স্থানে মিউটিশনের উপস্থিতির তথ্যও জানিয়েছেন গবেষকেরা। নমুনাগুলো চট্টগ্রামের বিভিন্ন অঞ্চলের নানা বয়সী আক্রান্ত ব্যক্তির থেকে সংগ্রহ করা।
গবেষকেরা দেখেছেন, আক্রান্ত রোগীদের উপসর্গ ছিল খুবই মৃদু। অধিকাংশ রোগীর গলা ব্যথা, সর্দি ও মৃদু জ্বর ছাড়া শ্বাসকষ্ট, অক্সিজেনের অভাবের মতো অন্য মারাত্মক লক্ষণ দেখা দেয়নি।
১০টি নমুনার মধ্যে লিনিয়েজ (বিএ.২) শনাক্ত হয়েছে ৬০ বছর বয়সী একজন, ৬৪ বছর বয়সী একজন, ৬৩ বছর বয়সী ও ৬৮ বছর বয়সী একজনের। বাকি ৬ জনের মধ্যে ৫৬ বছর বয়সী একজনের বিএ-১, ৫৭ বছর বয়সী বিএ.১.১, ৪০ বছর বয়সী একজনের শুধু ওমিক্রন, ৫৩ বছর বয়সী একজনের বিএ.১.১, ৫৬ বছর বয়সী একজনের বিএ-১, একই বয়সী আরেকজনের বিএ ১.১ ধরনে আক্রান্ত।
গবেষক দলের সদস্য ও মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. ইফতেখার আহমেদ বলেন, ভারতে এখন সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ঘটানো ওমিক্রনের নতুন ভ্যারিয়েন্টটি চারজনের শরীরে পাওয়া গেছে। তবে ধরনটি তেমন ভয়াবহ নয়। ওমিক্রনে আক্রান্তরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠছেন। ভয়ের কোনো কারণ নেই। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললেই হলো।