Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে নিহত ১, বাড়িতে আগুন

নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি

দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে নিহত ১, বাড়িতে আগুন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় শীতল মিয়া (৫৫) নামের একজন নিহত হয়েছেন। হামলায় দুই পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। এ সময় হামলাকারীরা একাধিক বাড়িঘরে আগুন দিয়েছে। আগুনে প্রায় ৫০ লাখ টাকারও বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ভুক্তভোগীদের।

গতকাল শনিবার বিকেলে উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের মুক্তারামপুর সেতুসংলগ্ন এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

ভুক্তভোগী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, নবীনগর উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের মুক্তারামপুর ধরাভাঙ্গা রোডে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় পিকআপ ভ্যান থেকে ইজারার টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে মুক্তারামপুর গ্রামের ইব্রাহিম মিয়ার সঙ্গে ধরাভাঙ্গা গ্রামের সলিমগঞ্জ বাজারের লাইনম্যান (ইজারা আদায়কারী) রহিম মিয়ার কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সেখান থেকে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

এই ঘটনার জের ধরে গতকাল শনিবার ধরাভাঙ্গা গ্রামের মানিক ও খোকনকে মারধর করা হয়। মানিক ও খোকন ধরাভাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা ও বড়িকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান লুৎফুর রহমান লাল মিয়ার ছেলে।

এদিকে মারধরের খবর ধরাভাঙ্গা গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে গ্রামের লোকজন চেয়ারম্যানের ছেলে মানিক মিয়া ও ডাম বাবুর নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মুক্তারামপুর গ্রামে হামলা চালায়। এ সময় মুক্তারামপুর গ্রামের পশ্চিমপাড়ার মৃত কানু মিয়ার ছেলে শীতল মিয়ার ওপর হামলা করে তারা। হামলায় শীতল মিয়া ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এ সময় হামলাকারীরা মুক্তারামপুর গ্রামের ছয়টি ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়।

এদিকে সংঘর্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা মালেক মিয়া ছাড়াও দুলাল মিয়া, মেহেদী হাসান, আমির মিয়া, সুমন, রয়েল মিয়া, মোহাম্মদ আলীসহ দুই গ্রামের কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। তবে হামলার বিষয়ে মন্তব্য জানতে মানিক মিয়া ও ডাম বাবুর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁদের পাওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুদ্দিন আনোয়ার বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরবর্তী সময়ে বিশৃঙ্খলা এড়াতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা চলমান রয়েছে।

ওসি সাইফুদ্দিন আনোয়ার আরও বলেন, ‘আর যাতে দুই গ্রামে কোনো মারামারি না হয় সে জন্য আমরা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সবার সঙ্গে কথা বলেছি। আহতদের খোঁজখবর রাখছি।’ তিনি জানান, ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করে দাফন পর্যন্ত পুলিশ পরিবারকে সহযোগিতা করবে। 

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ