নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম ও হিলি প্রতিনিধি
ভোগ্যপণ্যের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে মিয়ানমারের পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে। সেখানে মোট সরবরাহের প্রায় ৭০ শতাংশ পেঁয়াজই মিয়ানমার থেকে আসছে। সেই সঙ্গে হিলি বন্দর দিয়ে ভারতীয় পেঁয়াজের আমদানিও অব্যাহত আছে। এর প্রভাবে দেশে কমতে শুরু করেছে মসলাজাতীয় পণ্যটির দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারিতে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম কমেছে অন্তত ১০ টাকা। গতকাল সোমবার খাতুনগঞ্জে প্রতি কেজি মিয়ানমারের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২০-২২ টাকায়, যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ৩০-৩২ টাকা।
গতকাল খাতুনগঞ্জ ঘুরে দেখা যায়, এই বাজারের প্রতিটি আড়তে মিয়ানমারের পেঁয়াজের আধিক্য। বস্তায় বস্তায় মজুত করে রাখা হয়েছে মিয়ানমারের পেঁয়াজ। পাশাপাশি ট্রাক থেকে নামানো হচ্ছে বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ।
টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি করা পেঁয়াজের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, গত জুলাই মাস থেকে ধারাবাহিকভাবে পেঁয়াজের আমদানি বেড়েছে। জুলাই মাসে এই স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি হয় ৩ হাজার ১২১ মেট্রিক টন। এর পরের মাস আগস্টে ৭৭০ মেট্রিক টন, সেপ্টেম্বর মাসে ১ হাজার ৯৩৬ মেট্রিক টন, অক্টোবর মাসে ১৬ হাজার ২৫০ মেট্রিক টন এবং সর্বশেষ নভেম্বর মাসে ১৯ হাজার ৪৮৭ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়। চলতি ডিসেম্বর মাসের এই কয়েক দিনে গত মাসের চেয়ে বেশি আমদানি হয়েছে।
এ বিষয়ে খাতুনগঞ্জের রহমত এন্টারপ্রাইজের আড়তদার নাজিম উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাজারে এখন মিয়ানমারের পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে। প্রতিদিন গড়ে ৪০-৫০ ট্রাক পেঁয়াজ ঢুকছে। সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় এখন বাজারে পেঁয়াজের দামও কমছে।’
এদিকে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত থাকায় বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজের দামও কমতির দিকে। চার দিনের ব্যবধানে পাইকারিতে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম কমেছে ৩ টাকা করে। চার দিন আগেও হিলি স্থলবন্দরে প্রতি কেজি পেঁয়াজ প্রকারভেদে ২৬-২৭ টাকা বিক্রি হলেও বর্তমানে তা কমে প্রকারভেদে ২৩-২৭ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী মমিনুল ইসলাম বলেন, সরকার ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন ইমপোর্ট পারমিট (আইপি) বন্ধ করে দিলেও হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজের আমদানি অব্যাহত রয়েছে।