কুমিল্লার তিতাসে গোমতী নদীর পাড়ের তিনটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। উজান থেকে নেমে আসা পানিতে উপজেলার কলাকান্দি ইউনিয়নের ওই গ্রামগুলো প্লাবিত হয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে খবর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ টি এম মোর্শেদ, উপজেলা প্রকৌশলী মো. মোজাম্মেল হক, ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. আহসান উল্লাহ, কলাকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ইব্রাহিম সরকারসহ স্থানীয় নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিরা প্লাবিত গ্রামগুলো পরিদর্শন করেন। এ সময় তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারে ত্রাণ ও সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দেন।
গতকাল বুধবার দুপুর দেখা যায়, কলাকান্দি ইউনিয়নের আফজলেরকান্দি, উত্তর মানিকনগর ও দক্ষিণ মানিকনগর গ্রাম পানিতে তলিয়েছ। প্রতিটি বাড়ির উঠানে হাঁটু সমান পানি। গ্রামীণ সড়ক দিয়ে চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এ ছাড়া সদ্য রোপণ করা আমন ধান, মাছের ঘের তলিয়ে গেছে।
দক্ষিণ মানিকনগর গ্রামের মৃত ফজলুল হক মোল্লার স্ত্রী হামিদা খাতুন (৭০) বলেন, ‘এক রাতের মধ্যেই বাড়িতে উঠে গেছে, এখন আমরা পানিবন্দী। আল্লায় যদি আমাদের রক্ষা করে।’ একই গ্রামের হালিমা বেগম বলেন, ‘তিন দিন আমি দুই কানি খেতে মালারি ধান লাগাইছি। গতকাল (মঙ্গলবার) রাতে সব ডুবে গেছে।’
কলাকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, ‘হঠাৎ করে গোমতীর পানি বেড়ে ইউনিয়নের ৩-৪টি গ্রামের রাস্তাঘাট, ফসলি জমিসহ ঘরবাড়ি তলিয়ে গেছে। বাড়িঘর পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় অনেকেই নানা সমস্যার মধ্যে রয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আমি মঙ্গলবার রাতেই প্লাবিত এলাকা পরিদর্শন করেছি। বিষয়টি ইউএনওকে জানিয়েছি। আজ (বুধবার) তিনি এলাকা পরিদর্শন করে গেছে।’
ইউএনও এ টি এম মোর্শেদ বলেন, ‘বুধবার সকালে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছি। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সঙ্গে কথা বলে তাদের সহযোগিতার ব্যবস্থা নিচ্ছি। এ ছাড়া যে সব রাস্তাঘাট ভাঙন দেখা দিয়েছে, তা দ্রুত মেরামত করার জন্য ইউপি চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বন্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় জরুরি সেবা পৌঁছে দিতে উপজেলা প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে।’