আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে বগুড়ার ৭৮টি হাটে এবার পশু কেনাবেচা হচ্ছে। কোরবানির জন্য এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ লাখ বেশি পশু প্রস্তুত করা হয়েছে এই জেলায়। গত বছরের তুলনায় এবার গরুর দাম বেড়েছে ১০ থেকে ৪০ টাকা হাজার পর্যন্ত। এতে ক্রেতারা সন্তুষ্ট নন। অনেকেই দাম শুনেই চলে যাচ্ছেন। তাই বিক্রেতারাও খুশি নন।
খামারিদের দাবি, গোখাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় তাঁদের পশু উৎপাদনে খরচ বেড়েছে। তবে দাম সে হারে বাড়ানো সম্ভব হয়নি। তাই লোকসানের সম্মুখীন হচ্ছেন তাঁরা।
গেল কয়েক দিন জেলায় পশু কেনাবেচা কম হলেও গত সোমবার থেকে বেচাকেনা বাড়তে শুরু করে। মাঝারি আকৃতির গরুর চাহিদা তুলনামূলকভাবে বেশি বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।
প্রাণিসম্পদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, জেলায় স্থায়ী ৩৮টি হাট এবং অস্থায়ী প্রায় ৪০টি হাটে গরুর কেনাবেচা চলছে। জেলার কোরবানিযোগ্য গবাদিপশু ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলে যাচ্ছে।
গত সোমবার শহরের সুলতানগঞ্জ হাটে আসা গরুর ক্রেতা কালিবালা এলাকার জামাল বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার মানভেদে প্রতি গরুতে ১০ থেকে ৩০ হাজার টাকা বেশি দিতে হচ্ছে।
সদরের জয়বাংলা হাটে আসা খামারি মামুন বলেন, ‘আমার তিনটি দেশি প্রজাতির ষাঁড় এক দেড় লাখ করে দাম চাচ্ছি। ক্রেতারা দাম শুনে চলে যাচ্ছেন। কিন্তু গরুর খাবারের দাম এবং বিদ্যুতের দাম বেড়ে যাওয়ায় অনেক খরচ হয়েছে গরু পালতে। তাই বাড়তি দাম না দিলে লোকসানে পড়ব।’
জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর কোরবানির ঈদ উপলক্ষে জেলার মোট ১২টি উপজেলার ৪৬ হাজার ১৫ জন খামারি মোট ৪ লাখ ২৭ হাজার ২৯৫টি গবাদিপশু কোরবানিযোগ্য করে তোলেন। জেলায় কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে ৩ লাখ ৫৯ হাজার ৩৭৫টি। চাহিদার অতিরিক্ত পশু রয়েছে ৬৭ হাজার ৯২০টি।
এ পশুগুলোর মধ্যে গরু রয়েছে ২ লাখ ৬৭ হাজার ৭৯৮, মহিষ ১ হাজার ৭৩৩, ছাগল ১ লাখ ২৯ হাজার ৫৩৮ এবং ভেড়া ২৮ হাজার ২২৬টি।
জেলা অতিরিক্ত প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান বলেন, বগুড়ার বাইরে গরু যাওয়ায় খামারিরা লোকসানে পড়বেন না বলে আশা করা যাচ্ছে।