গোপালপুরে বিদ্যালয়ের জরুরি ফাইলপত্র নিয়ে প্রধান শিক্ষকের লাপাত্তা হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে বিদ্যালয়ের যাবতীয় কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠন নিয়েও দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। এ ঘটনায় গোপালপুর থানায় একটি অভিযোগ করা হয়েছে।
এ অভিযোগ উঠেছে উপজেলার ঝাওয়াইল ইউনিয়নের কাহেতা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মানিক উদ্দিনের বিরুদ্ধে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, কাহেতা উচ্চবিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠনের জন্য গত ২৩ মে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। পরদিন গোপালপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে সভাপতিসহ কার্যকরী কমিটি গঠনের জন্য এক সভা ডাকা হয়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মানিক উদ্দিন ওই সভায় যোগদানের নামে সব ফাইলপত্র নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যান। এক সপ্তাহ ধরে তিনি বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত রয়েছেন। মানিক উদ্দিনের মোবাইল ফোনটি বন্ধ থাকায় তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। এদিকে ওই সভায় হাজির না হওয়ায় নতুন কমিটি গঠন করা যায়নি।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য এবং ঝাওয়াইল ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান খায়রুল ইসলাম বলেন, ‘প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানা অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে। নতুন কমিটি গঠিত হলে এসবের তদন্ত করা হবে। শাস্তি হতে পারে—এ আশঙ্কা থেকেই তিনি সব ফাইলপত্র নিয়ে গা ঢাকা দিয়েছেন।’
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাজনীন সুলতানা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নির্বাচনের সাত দিনের মধ্যে নতুন কমিটি গঠন করার নিয়ম। কিন্তু ফাইলপত্রসহ প্রধান শিক্ষক লাপাত্তা হওয়ায় নতুন কমিটি গঠন অনিশ্চিত হয়ে গেছে। এখন অ্যাডহক কমিটি ছাড়া উপায় নেই।
প্রধান শিক্ষক মানিক উদ্দিনের পরিবারের সদস্যরা জানান, তিনি অসুস্থ। চিকিৎসা নিতে ঢাকায় গেছেন।